কিভাবে পাক-চীন লবী দেশের ঐক্যকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ভারতে যদি জাতীয়তাবাদের ঢেউ শক্তিশালী হয় তবে এই লবী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মনে রাখতে হবে যে পাকিস্তান ও চীন চায়না ভারত শক্তিশালী দেশ হয়ে উঠুক। দেশের ঐক্য ও ঐতিহ্য দেশবাসীর মনে তীব্র যাতে না হয় সেদিকে এদের দৃষ্টি থাকে সবসময়।
কিন্তু গত ১২-১৪ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে ভারতে জাতীয়তাবাদী মানসিকতা জোরালো হচ্ছে। তাছাড়া সেকুলারিজমের নামে হিন্দু ধর্ম ও ঐতিহ্যের উপর যেভাবে আক্রমণ চলেছে এতে হিন্দুদের মনে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। উদার স্বভাবের হওয়ায় হিন্দুরা এ সহ্য করেছিল বহু বছর কিন্তু পরে তারা এর প্রতিবাদ ও জবাব দিতে শুরু করে। প্রবাসী ভারতীয়রাও সমর্থন করে এতে এবং এভাবে জাতীয়তাবাদী মনোভাব শক্তিশালী হতে থাকে। এই দেশপ্রেম ও ঐক্যকে পাক-চীন লবী কিভাবে চেপে দেওয়ার চেষ্টা করে সেই বিষয়ে আজও আলোচনা করা হবে। লবীর চতুর্থ রণকৌশল।
Sab Lok tantra – has been completely deleted by Youtube India.
Watch the conversation between Nidheesh Goyal and Rachit Kaushik.
জাতীয়তাবাদীকেচেপেদেওয়ার_চেষ্টা
১●সোসাল মিডিয়া ব্যাপক হলে পাক-চীন লবী এর সাহায্যে জনতার মধ্যে প্রচার বাড়ায়। এর সুবিধা কি এ নিয়ে আগে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে অপপ্রচার করতে এই মাধ্যমে সুবিধা আছে।
আপনি যদি জাতীয়তাবাদী শক্তি হিসেবে এই লবীর অপপ্রচারের প্রতিবাদ করেন বা এদের তথ্য ও যুক্তির দুর্বলতা দেখান, এরা প্রথমে চুপ থাকে যাতে আপনার বক্তব্য বেশি না ছড়ায়।
২●কিন্তু যদি আপনার বক্তব্য প্রসারিত হতে থাকে মানুষের মধ্যে তবে এই লবী পদক্ষেপ নেয়। প্রথমে আপনার বদনাম ছড়াবে। উদ্দেশ্য হলো মানুষের কাছে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করা। কম্যুনাল, অসহিষ্ণু, হিন্দুত্ববাদী, মোদীর অন্ধভক্ত, গোমূত্র ইত্যাদি নাম দেবে আপনাকে। আর এভাবে আপনাকে গুরুত্বহীন করার চেষ্টা করবে।
৩●এতে যদি আপনি না দমেন তবে এদের সমর্থনে কিছু বই ও লেখা উদ্ধৃত করে নিজস্ব মতকে সত্য বলে দেখানোর চেষ্টা করে। এবং বহু স্থলে এরা কোনো শ্রদ্ধেয় লেখকের বই থেকে নিজেদের সুবিধেমতো আংশিক উদ্ধৃতি দিয়ে বা ভুল ব্যাখ্যা করে আপনার বক্তব্যকে লন্ডনের চেষ্টা করে। এভাবে দেখাতে চাইবে যে আপনার বিদ্যা বুদ্ধি কম, অথবা আপনি অপপ্রচার করছেন। অনেক সময় আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কুৎসা প্রচারের চেষ্টা হয়। উদ্দেশ্য একই, যে-কোনো ভাবে আপনার মুখ বন্ধ করা।
৪●সোসাল মিডিয়ায় আপনার সাথে বিতর্ক শুরু হলে এই লবী আরেক রণকৌশল নেয়। এরা অনেক নেটওয়ার্ক তৈরি রাখে নিজেদের লোক দিয়ে। এই মিডিয়ায় আপনার কোনো মন্তব্য এদের পছন্দ না হলে এরা সমবেতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়বে আপনার বিরুদ্ধে। ফেসবুক, WhAp, ট্যুইটারে ঐ গ্রুপের সদস্যরা আপনার বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে থাকবে একের পর এক। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে সাধারণ মানুষেরা প্রতিবাদ করছে আপনার মন্তব্যের বিরুদ্ধে। এভাবে নিজেদের অ্যাজেন্ডা দিয়ে আপনাকে চুপ করানোর চেষ্টা হবে।
৫●এদের লেখায় বারবার বলা হবে মুক্ত চিন্তার কথা, বাক-স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সংবিধান, মৌলিক অধিকারের আবেদন। এরা এসব অধিকারের সুযোগ নিয়েই আপনার অধিকার চেপে দেবে।