সংকল্পের সামনে হার মানল গুজব, ৩২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত কম পোড়ার পরেও ধসল না পাওয়ার গ্রিড!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) আবেদনের পর রবিবার রাত ঠিক ৯ টা থেকে ৯ মিনিট পর্যন্ত দেশজুড়ে ঘরের বাল্ব আর লাইট বন্ধ থাকার কারণে পাওয়ার গ্রিডে (Power Grid) কোন প্রভাব পড়েনি। সরকার আর বিদ্যুত কোম্পানি গুলো চাহিদায় আচমকাই হ্রাস আর এরপর হঠাত বৃদ্ধির পরিস্থিতির থেকে মোকাবিলার জন্য প্রথম থেকেই প্রস্তুত ছিল। আর এই কারণে গোটা দেশের কোথাও কোন সমস্যা হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে চালানো অভিযান অনুযায়ী দেশের নামে একটি ভিডিও ম্যাসেজ দেন। ওই ম্যাসেজে তিনি গোটা দেশবাসীকে রবিবার রাত ৯টা থেকে ৯ মিনিটের জন্য ঘরের আলো নিভিয়ে বাইরে মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোকিত করতে বলেন। ওনার এই আবেদন দেশের সেই করোনা যোদ্ধাদের সন্মানের জন্য ছিল, যারা প্রথম থেকেই নিরলস ভাবে মানুষের সেবা করে চলেছেন। আর করোনায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করতে উনি এই আবেদন করেন

বিদ্যুত মন্ত্রী আর.কে সিং (RK Singh) বলেন, ‘বিদ্যুতের চাহিদা হ্রাস পাওয়া আর আবার সেটি বেড়ে যাওয়া খুব ভালো মতো ম্যানেজ করেছে বিদ্যুত কোম্পানি গুলো। অফিসাররা আগে থেকেই এই সমস্যার সাথে মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। আমার বরিষ্ঠ আধিকারিকদের সাথে ব্যাক্তিগত রুপে এই পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছিলাম। আমি ন্যাশানাল লোড ডিস্প্যাচ সেন্টার, রিজিওনাল লোড ডিস্প্যাচ সেন্টার আর স্টেড লোড ডিস্প্যাচ সেন্টারের সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারদের এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য অভিনন্দন জানাই।”

বিদ্যুত মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, প্রায় চার পাঁচ মিনিট চাহিদা ১,১৭০০০ মেগাওয়াট থেকে কমে ৮৫,৩০০ মেগাওয়াট হয়ে গেছিল। এটা সম্ভাবিত ১,২০,০০০ মেগাওয়াটের কম চাহিদার থেকে অনেক বেশি। মন্ত্রালয় অনুযায়ী, লাইট বন্ধ হওয়ার পর বিদ্যুতের চাহিদা হ্রাস পেলেও কোথা থেকেও কোন গড়বড়ের খবর পাওয়া যায়নি। বিদ্যুত মন্ত্রী বিদ্যুত উৎপাদন কোম্পানি গুলোর প্রশ্নগসা করেন আর বলেন তাঁরা এই অভিযানে খুব ভালো যোগদান করেছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.