RSS এর দুই দিনের সভা সমাপ্ত হল: আলোচনা হল হিন্দুত্ব আর সংগঠন বিস্তারের উপরে

মথুরার বৃন্দাবনে কেশব ধামে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পূর্ব এবং পশ্চিম ক্ষেত্রের দুই দিনের সভা সমাপ্ত হয়েছে। শেষ দিনের বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে হিন্দুত্ব আর সংগঠনের বিস্তারের উপরে। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত সংগঠন মজবুত করার উপরে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন এবং নির্দেশ দিয়েছেন সংগঠন এর একদম নীচের তলার ব্যক্তিদের সাথে জড়িত সমস্যাগুলো দূর করার জন্য।
.

এখানে প্রথম দিনে ৫টি সেশন ছিল, সেখানে দ্বিতীয় দিনে ৪টি সেশন হয়েছে। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত দ্বিতীয় দিনে চারটি অধিবেশনের মধ্যে দুটিতে উপস্থিত ছিলেন, এবং সর কার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে দুটি অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় দিনের বৈঠক শুরু হয়েছিল বন্দে মাতরম মন্ত্র দিয়ে। সেখানেই সরসঙ্ঘচালক বলেন যে সংগঠন এর বিস্তার ও সংগঠনকে শক্তিশালী করার দিকে স্বয়ংসেবকদের মনোযোগ দেওয়া উচিত।

এছাড়াও সরসঙ্ঘচালক সমস্ত কার্যকর্তাদের বলেন সংগঠনের একদম শেষ ধাপ পর্যন্ত যুক্ত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করতে এবং তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করতে। তারা যেন সংগঠন এর বিস্তার ও মজবুতীকরনের জন্য শাখার সংখ্যা বৃদ্ধি করে।

বৈঠকের মধ্যে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের কথাও ওঠে। জানুয়ারীতে তার দ্বারোদঘাটন হবে। সরসঙ্ঘচালক কার্যকর্তাদের বলেন এই সংক্রান্ত তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। মন্দির উদ্বোধনের দিন শহর ও গ্রামে মন্দিরে মন্দিরে ধর্মীয় কার্যক্রম করারও নির্দেশ দেন তিনি।

বৈঠকে সহ-সর কার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবোলে, আঞ্চলিক প্রধান হরিশ রাউতেলা, হরিদ্বার প্রদেশের শ্রী পদম, কেশব ধামের শ্রী ললিত ছাড়াও উত্তরাখণ্ড, মীরাট, ব্রজ প্রদেশ, পূর্ব অঞ্চল কাশী, অবধ এবং গোরখপুর প্রদেশের প্রচারকারী ও পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান কেশবধামের বাইরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সভা শেষ হওয়ার পর মথুরা জংশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। যেখান থেকে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। সংঘ প্রধানের বিদায়ের আগে মথুরা জংশন স্টেশনে কড়া নিরাপত্তা ছিল। আরপিএফ, জিআরপি ছাড়াও সিও সিটির নেতৃত্বে এখানে সিভিল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.