চলতি অর্থ বর্ষের প্রথম ছয় মাসেই দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলি জালিয়াতি শিকার হয়েছে ৯৫,৭৬০ কোটি টাকার ৷ মঙ্গলবার সংসদে শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে একথা জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নিজেই।
তাঁর দেওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্তত ৫,৭৪৩টি জালিয়াতি ও প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে এই সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলিতে। যদিও এহেন পরিস্থিতিতেও রাজ্যসভাকে নির্মলা আশ্বস্ত করেন,নরেন্দ্র মোদীর সরকার জালিয়াতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কঠোর পদক্ষেপ করেছে বলে। মন্ত্রীর দাবি, বন্ধ হয়ে যাওয়া সংস্থাগুলির অন্তত ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গত দুই অর্থবর্ষে আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও সংস্থান রাখা হয়েছে আইনে। ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষের জন্য প্রকাশিত রিজার্ভ ব্যাংকের বার্ষিক রিপোর্টেই বলা হয়েছিল, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের তুলনায় ১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাংক জালিয়াতির সংখ্যা। ওই রিপোর্ট অনুসারে, তখন ৬,৮০১টি জালিয়াতির ঘটনা ঘটে ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলিতে। সেক্ষেত্রে তাদের সম্মিলিত ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৭১,৫৪২.৯৩ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, দেশ জুড়ে একের পর এক এভাবে ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসায় ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে।
সম্প্রতি সিবিআই ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনার জন্য ৪২টি নতুন মামলা দায়ের করেছে। যার প্রতারণার অঙ্ক মোট ৭,২০০ কোটি। আর ওই টাকার তদন্তে নেমে মোট ১৮৭টি জায়গায় তল্লাশিও চালান হয়।