ভোটের আগেই মধ্যপ্রদেশ জুড়ে শুরু হয়েছে আয়কর হানা। গত দু’দিনে এই রাজ্য থেকে হিসেব বহির্ভূত ২৮১ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর বিভাগ। এ ছাড়াও বাঘের চামড়া ও মদের বোতলও উদ্ধার হয়েছে। সোমবার আয়কর বিভাগের দেওয়া একটি বিবৃতিতে এ কথা জানা গিয়েছে।
আয়কর বিভাগের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তাতে জানা গিয়েছে, এই নগদ টাকার মধ্যে ২০ কোটি টাকা একটি বড় রাজনৈতিক দলের অফিসে পাঠানো হচ্ছিল। দিল্লির তুঘলক রোডের এক প্রভাবশালী বাসিন্দার বাড়ি থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে এই টাকা পাঠানো হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা এই টাকা ছাড়াও বাঘের চামড়া ও ২৫২টি মদের বোতলও উদ্ধার করা হয়েছে। এই টাকার হিসেব ডায়েরিতে হাতে লেখা ছিল বলেই জানা গিয়েছে।
আয়কর বিভাগের তরফে আরও জানানো হয়েছে, একজন প্রভাবশালী নেতার আত্মীয়দের কাছ থেকেও একটা বড় পরিমাণে হিসেব বহির্ভূত টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই টাকার হিসেব কম্পিউটারের মধ্যে এক্সেল শিটের মধ্যে লেখা ছিল। এই টাকা ছাড়াও এই এক্সেল শিটের মধ্যে আরও ২৩০ কোটি টাকার হিসেব বহির্ভূত আদানপ্রদানের খবরও পাওয়া গিয়েছে। ৮০টির বেশি নকল কোম্পানির মাধ্যমে এই টাকার লেনদেন করা হয়েছে বলে আয়কর বিভাগ সূত্রে খবর।
রবিবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের প্রাক্তন সচিব প্রবীণ কক্কর ও প্রাক্তন উপদেষ্টা রাজেন্দ্র কুমার মিংলানির বাড়িতে হানা দেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। কর্ণাটকের কংগ্রেস-জনতা দল ( সেক্যুলার ) জোটের নেতাদের বাড়িতে হানার এক সপ্তাহের মধ্যে মধ্যপ্রদেশে এই আয়কর হানা শুরু হয়েছে। কর্ণাটকে আয়কর হানা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী অভিযোগ করেছেন, নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্যই বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে। একই অভিযোগ জানিয়েছে কংগ্রেসও।
রবিবার নির্বাচন কমিশনের তরফে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনের আগে এই হানা যেন কোনও রাজনৈতিক দলের রং দেখে না করা হয়। এমনকী কোনও জায়গায় হানা দেওয়ার আগে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অনুমতির পরেই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি এই হানা দিতে পারবে বলে জানা গিয়েছে।