এ যেন এক অদ্ভুত বৈপরীত্য। দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে যখন জলকষ্ট প্রকট, ঠিক তখনই সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি অসম, বিহার সহ ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ বন্যপ্রাণীরাও। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে অসমের কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্কে। ন্যাশনাল পার্কটি কার্যত জলের তলায় চলের যাওয়ায় সেখানকার বন্যপ্রাণীরা প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিচ্ছেন রাস্তায়।
এমন সময় দেশের সাধারণ মানুষকে কিছু আর্জি জানাতে একাধিক ক্রিকেট তারকা বেছে নিলেন তাঁদের টুইটার হ্যান্ডেলকে। বন্যা প্রভাবিত অঞ্চলগুলির সাহায্যার্থে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার বার্তাও দিলেন তাঁরা। টার্বুনেটর হরভজন সিং দেশের নাগরিকদের কাছে সম্ভাব্য উপায়ে বন্যা কবলিত অঞ্চলের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা রাখলেন। সোশাল মিডিয়ায় ভাজ্জি লেখেন, ‘দয়া করে এগিয়ে আসুন। অসম, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মিজোরামের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এমন অবস্থায় আপনাদের সমর্থন খুব প্রয়োজন। সম্ভাব্য উপায়ে সমর্থন করুন।’
তবে দিনের সবচেয়ে আবেদনপূর্ণ টুইটটি এল সদ্য-সমাপ্ত বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহকারী রোহিত শর্মার কাছ থেকে। কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক ও সংলগ্ন রাস্তার বেশ কিছু ছবি টুইট করেছেন রোহিত। যেখানে দেখা যাচ্ছে অসমের ন্যাশনাল পার্কটি জলের তলায় চলে যাওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে হাতি-গন্ডারের মত বন্যপ্রাণীরা আশ্রয় নিচ্ছে লোকালয়ে। তাই রোহিত লিখেছেন, ‘দেখে ভীষণই খারাপ লাগছে। কাজিরাঙা সংলগ্ন মানুষের কাছে অনুরোধ দয়া করে সাবধানে ও ধীর গতিতে গাড়ি চালান। সুন্দর বন্যপ্রাণীগুলোর কাছে রাস্তা ছাড়া আশ্রয় গ্রহণের আর কোনও উপায় নেই।’
আপাতত নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে কাউন্টি খেলতে ব্যস্ত হলেও প্রবল বন্যা ও তীব্র জলকষ্টের কারণে দেশের শোচনীয় অবস্থার কথা জানিয়ে টুইট করলেন রবি অশ্বিনও। সতীর্থ রোহিতের টুইটের প্রত্যুত্তরে তিনি লেখেন, ‘প্রবল বন্যা ও একইসঙ্গে খরা চলছে দেশজুড়ে। বন্যপ্রাণীরা তাদের বাসস্থানে থাকার বিষয়ে নিরুপায়। মাথায় রাখতে হবে তাদের মত পরবর্তীতে এমন বিপদের সম্মুখীন হব আমরাও।’
এদিকে গত মঙ্গলবার অ্যাথলেটিক্সে দেশের সোনার মেয়ে হিমা দাস অসমের বন্যায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর মাসিক উপার্জনের অর্ধেক অসমের বন্যা তহবিলে দান করার করার কথা ঘোষণা করেছেন ‘ঢিং এক্সপ্রেস’।