প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নির্দেশে দেশে নোভেল করোনা ভাইরাস (Novel Corona Virus) (কোভিড-১৯)-এর কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির পর্যালোচনা, নজরদারী এবং প্রস্তুতির ব্যবস্থাপনার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রীগোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধনের (Dr. Harsh Vardhan) পৌরহিত্যে এই মন্ত্রীগোষ্ঠী আজ নতুনদিল্লিতে বৈঠক করে। বৈঠকে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং (Shri Hardeep Singh) পুরি, বিদেশ মন্ত্রী ডঃ সুব্রমণিয়াম জয়শংকর (Dr. Subramanian Jayashankar) , স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী নিত্যানন্দ রাই (Shri Nityanand Rai), জাহাজ চলাচল, রসায়ন ও সার দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী মনসুখ মান্ডভিয়া (Mansukh Mandavia), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কোভিড-১৯ (Covid-19) এর বিষয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে সকলকে জানানো হয়। কোভিড-১৯ (Covid-19) -এর প্রতিরোধে ভারতে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেই সম্পর্কেও বিশদে জানানো হয় । এর মধ্যে রয়েছে, ১০ মার্চ ২০২০ তে জারি হওয়া নতুন দুটি পর্যটন সংক্রান্ত পরামর্শ সহ বিশ্ব পরিস্থিতি অনুযায়ী ভ্রমণ সংক্রান্ত নানা নির্দেশাবলী এবং বিভিন্ন তথ্য। এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করার অঙ্গ হিসেবে, ওই পরামর্শে বলা হয়েছে, যারা চীন, হংকং, দক্ষিণ কোরীয়া জাপান, ইটালি, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইরান, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স, স্পেন এবং জার্মানি থেকে ফিরবেন, তাঁদের দেশে পৌঁছানোর দিন থেকে ১৪ দিন কোয়ারাণ্টিনে থাকতে হবে এবং তাঁরা যে সংস্থায় কর্মরত , সেই সংস্থাকে এমন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ঐ কর্মচারী এই সময়ে বাড়িতে থেকে কাজ করার সুযোগ পান।
বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক/দপ্তর গুলির সচিব ও পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যসচিব শ্রীমতী প্রীতি সুদান মন্ত্রীগোষ্ঠীকে জানান, মানুষকে এই ভাইরাসের বিষয়ে সচেতন করতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের কি কি শারীরিক লক্ষ্মণ দেখা দেবে, এবং এ সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর নিয়ে প্রচার করতে বলা হয়েছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি কোয়ারান্টিনের জন্য অতিরিক্ত জায়গা বাছাই, আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছে। তিনি আরো জানান, চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া,নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ইরান ও ইটালি౼এই ১২টি দেশের থেকে আগত যাত্রীদের এর্যোব্রিজ ব্যবহার করতে হবে এবং তাঁদের সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
দেশের স্বার্থে যে সব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, মন্ত্রীগোষ্ঠী সেই বিষয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করে। নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর মোকাবিলায় যে সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন মন্ত্রক/দপ্তর, ও রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি যে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা জেনে মন্ত্রীগোষ্ঠী সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
ক্যাবিনেট সচিবও আজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক/দপ্তরের সচিব, সেনাবাহিনী এবং ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আজ বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ১৮৯৭ সালের সংক্রামক ব্যধি আইনের ২ নম্বর ধারা প্রয়োগ করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক, সব রাজ্য/ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরামর্শ দেবে। এর ফলে মন্ত্রক, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিভিন্ন নির্দেশিকা কার্যকর করতে সুবিধে হবে। এছাড়াও আজ ইটালি থেকে যে ৮৩ জন যাত্রী এসেছেন, তাঁদের মানেসরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে।