মঙ্গলবার রাজীব ব্যানার্জী (Rajib Banerjee) নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করে রাজ্য রাজনীতিতে তুলকালাম কাণ্ড বাঁধিয়ে দিয়েছেন। তিনি টুইটারে ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘ সমালোচনা তো অনেক হল। মানুষের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ওন মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লী আর ৩৬৫ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালোভাবে নেবে না।”
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লেখেন, ‘আমাদের সকলের উচিৎ রাজনীতির উর্দ্ধে কোভিড ও ইয়াস এই দুর্যোগে বিপর্যস্ত বাংলার মানুষের পাশে থাকা।” রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পোস্টের পর রাজ্য রাজনীতিতে আবারও নতুন করে জল্পনার সৃষ্টি হল। তাহলে সোনালী-সরলাদের মতো উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহতলে যেতে চাইছেন? সেটা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
রাজীবের এই বিস্ফোরক পোস্টের খবর চাউর হতেই ময়দানে নামলেন বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি তথা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট রিটুইট করে সৌমিত্র খাঁ লেখেন, ‘৪২হাজার ভোটে হারার পর মনে পড়লো? বিজেপির ৪২জনের বেশি কর্মীরা মারা গেছে,তখন চুপ থাকা মানে শাসক দলকে সমর্থন করা। মোদী সরকার করোনার জন্য ফ্রি তে ভ্যাকসিন,অক্সিজেন ও সব রকম সাহায্য করছে।আর ইয়াস ঘূর্নিঝড়ের জন্য মোদী জি নিজে এসেছেন।৪০০কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যেকে।”
এরপর সৌমিত্র খাঁ আরও লেখেন, ‘আরও যা যা ক্ষতি হয়েছে তা কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য করবে। আমরা বিরোধী দল আমরা সরকারের গঠন মূলক কাজে সাহায্য করবো।ভুল হলে পথে নামবো৷ আপনি নীরব না থেকে বিজেপির কর্মীদের পাশে থাকলে ভালো হয়। না হলে গাড়ির পিছনে যে ছবিটা আছে সেটা আবার সামনের সিটে নিয়ে আসুন।” এরপর সৌমিত্র খাঁ আরও একটি টুইট করে লেখেন, ‘এটা দলের বক্তব্য নয়, এটা সম্পূর্ণ নিজের মতামত আমার।”
উল্লেখ্য, সৌমিত্র খাঁ কে নিয়েও বেশ কয়েকদিন ধরে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা চলছিল। কিন্তু তিনি কদিন আগেই সেই জল্পনায় জল ঢেলে বলেন যে, ‘বিজেপি ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই।” এরপর আজ হেস্টিংসে বিজেপির বৈঠকের আগে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন বিজেপিতে যোগ দেবেন, আমি সেদিনই তৃণমূলে যাব।” সৌমিত্র খাঁয়ের এই মন্তব্যে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, তিনি বিজেপিতো ছাড়ছেনই না, পাশাপাশি তৃণমূলকে রেহাই দেবেন না।