শুধু আবিষ্কার হতেই যা দেরি। একবার করোনার টিকা আবিষ্কার হয়ে গেলেই, তা দেশের সব প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেবে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। বুধবার সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভায় ঘোষণা করেছেন রিলায়েন্সের কর্ণধার মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানি (Nita Ambani)। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, শীঘ্রই কেন্দ্রের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে, দেশের প্রতিটি প্রান্তে গণহারে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে তাঁদের সংস্থা।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই শিল্পপতিদের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন আম্বানিরা। তাঁদের সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর PM CARE তহবিলে ৫০০ কোটি টাকা অনুদানের পাশাপাশি নিজেদের টাকায় একাধিক হাসপাতাল তৈরি করেছে করোনা চিকিৎসার জন্য। লক্ষ-লক্ষ পিপিই ও মাস্ক তাঁরা তুলে দিয়েছে দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য। নীতা আম্বানি নিজে ‘মিশন অন্ন সেবা’র মাধ্যমে লকডাউনের সময় দেশের ৩ কোটি দুঃস্থ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। এবার তিনি আরও বড় ঘোষণা করলেন। বুধবার রিলায়েন্সের বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি বলেন,”আমি কথা দিচ্ছি, যেদিনই করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হবে। আমরা জিও’র ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন ও সাপ্লাই চেন ব্যবহার করে দেশের প্রতিটি প্রান্তে এই প্রতিষেধক পৌঁছে দেব। দেশের কোনও প্রান্তের মানুষ এই টিকা থেকে বঞ্চিত থাকবেন না।” একই সঙ্গে নীতা এদিন আরও ঘোষণা করেন, দেশের সব প্রান্তে যাতে গণহারে করোনা টেস্ট হয়, তা নিশ্চিত করতেও এবার সরকারের পাশে দাঁড়াবে তাঁর সংস্থা। কেন্দ্র সরকার থেকে পুরসভা, সবস্তরের প্রশাসনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে দেশজুড়ে গণহারে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন (Reliance Foundation)।
উল্লেখ্য, ‘করোনা’র প্রতিষেধক কবে আসবে? তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি গবেষকরা । তবে, এখনও পর্যন্ত এক রাশিয়ান সংস্থা, এক আমেরিকান সংস্থা এবং দুই ভারতীয় সংস্থা এই মারণ ভাইরাসের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর অনুমতি পেয়েছে। আমেরিকার সংস্থা মডের্না ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রাথমিক পর্যায়ে সাফল্যও দাবি করেছে। জুলাইয়ের শেষের দিকেই দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করবে তাঁরা। রিলায়েন্স বলছে, যে সংস্থাই টিকা তৈরি করুক না কেন। দেশের প্রতিটি কোনায় তা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের।