৪৬ এ দেশ হারালাম হাজির পশ্চিমবঙ্গে,
রিফিউজি তকমা পেয়ে জায়গা হল নতুন বঙ্গে।
নোয়াখালী দেখেছিলাম পরাধীন বঙ্গদেশে,
পাড়ি জমালাম দেশ হারিয়ে নতুন এক দেশে।
কলোনি গড়ে উঠলো,ভরিয়ে দিলাম শহর-গ্রাম-বাংলা,
এখানকার মানুষের কাছে মোদের তকমা রিফিউজি আর কাংলা।
যারা করলো মোদের ঘর-ছাড়া তাদের ছিল সাম্প্রদায়িক নীতি,
এখানে এসে মোরা গড়ে তুললাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
কেউ হারিয়েছিল পিতামাতা কিংবা ভাইবোনের প্রাণ,
পূর্ব-পাকিস্তান ভুলেছি মোরা,এখানে সব মোদের ভাইজান।
লেনিন- মাও পাঠ করে মোরা হলাম কমিউনিস্ট,
সব ভুলে গিয়ে ডায়েরির পাতায় বাড়ালাম সেক্যুলারদের লিস্ট।
বেশ তো ছিলাম, ভালোই ছিলাম,আড়ামে কাটছিল বেশ,
৭১ এ ফিরলো আবার সেই ৪৬ এর রেশ।
আবার এল মানুষ সব নিজ দেশ হারিয়ে,
কমিউনিস্টরা ভোটব্যাংকের জন্য তাদের হাত দিলো বাড়িয়ে।
কলোনি হল,বস্তি হল,নিল কমিউনিস্টরা দায়ভার,
আবার সেই একই বৃন্তে দুটি কুসুম হলাম মোরা সেক্যুলার।
বেশ তো ছিলাম ভালোই ছিলাম শ্যামাপ্রসাদের বঙ্গে,
গরিবি,বেকারত্ব,আর কমিউনিস্টদের বিপ্লবের বুলি আওড়ানো ছিল সঙ্গে।
আমাদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হল,জানলাম কেন হয়েছিল দেশভাগ?
কাফের তোরা, মেরে ফেলবো এই দেশ হতে তোরা ভাগ।
২০১৯ এ আমাদের জন্য ভাবলো কোন এক রাজনৈতিক পার্টি,
নাগরিকত্ব পাবো মোরা,আমরা নই কমিউনিস্টদের প্রপার্টি।
তোমরাই তো করেছিলে দেশভাগ,মুসলিম লীগকে সমর্থন করে,
এখন সাজছ তোমরা ধর্ম-নিরপেক্ষ নেড়ে?
এইতো সেইদিন টুম্পার গানে ব্রিগেড সমাবেশ দেখলাম,
ভাইজান আবার আমাদের স্বাধীন করবে,আসল উদ্দেশ্যটা জানলাম।
হিন্দু বিরোধী কমিউনিস্টরা হাজির হয় এইভাবেই ছদ্মবেশে,
আবার হয়ত রিফিউজি হয়ে পাড়ি দিতে হবে অন্য কোনো দেশে।!
✍️✍️✍️সন্দীপ মুখোপাধ্যায়।