করোনা কালে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকমাস। এখনও কোনও দিশা দেখতে পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। তবে এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্টে কিছু আশা দেখছে সাধারণ মানুষ।
রিপোর্ট বলছে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী পরপর পাঁচদিন নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থতার সংখ্যা বেশি। জানা গিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় এক লক্ষেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছেন। এছাড়া গত মঙ্গলবার এক মাসের মধ্যে সব থেকে কম সংক্রমণ হয়েছে। ফলেন, কিছুটা হলেও সংক্রমণ কমার আশা দেখছে ভারত।
যদিও প্রত্যেকদিন ১০০০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে করোনায়।
তবে দ্রুত ভাইরাস চিহ্নিত করতে প্রচুর পরিমাণ টেস্ট হচ্ছে দেশ জুড়ে। প্রত্যেকদিন ১২ লক্ষ টেস্ট হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৬ কোটি টেস্ট হয়েছে দেশ জুড়ে। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে মৃতের সংখ্যা কমছে বলে উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
দেশের মধ্যে ৭ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার নিয়েছে। বুধবার এই ৭ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতি নিয়ে গুজব যাতে না ছড়ায় সেব্যাপারে আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন মোদী। একইসঙ্গে দেশের ৬০ জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে দেশের মধ্যে ৭টি রাজ্যে করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। রাজ্যগুলি হল, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও পঞ্জাব। দেশের মোট করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৬৫ শতাংশ রোগীই এই ৭ রাজ্যের।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলি কী কী পদক্ষেপ করছে বা কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে আরও কী কী সহায়তা দেওয়া যায় এদিন তা নিয়েই ৭ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স মারফত বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনার সংক্রমণে দেশের ৬০ জেলাই এখন চিন্তার কারণ বলে বৈঠকে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই ৬০ জেলাই এই ৭ রাজ্যের অন্তর্গত।
এদিনের বৈঠকে করোনা মোকাবিলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘সাত দিন ধরে সব জেলা বা ব্লক স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। করোনার সংক্রমণ এড়াতে তাঁরা কী কী পদক্ষেপ করছেন তা বোঝার চেষ্টা করুন।’’
এরই পাশাপাশি সংক্রমণ এড়াতে সাধারণ মানুষকে সচেতন ও সত্রক করতে রাজ্যগুলিকে আরও বেশি তৎপর হতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় গুজবের জেরে যাতে টেস্টের সংখ্যা কমে না যায়, সেব্যাপারেও মুখ্যমন্ত্রীদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন মোদী।