অক্টোবরে রেকর্ড উৎপাদন! ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি, দাবি নির্মলার

দেশের অর্থনীতির ভিত্তি এখনও নড়বড়ে থাকলেও তা ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামী বাজেটে দেশের পরিকাঠামো উন্নয়নই মোদি সরকারের পাখির চোখ।

মঙ্গলবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ‌্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি ক্ষেত্রে বৃদ্ধি অব‌্যহত রয়েছে। শিল্প ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও নতুন দিশা দেখা দিয়েছে। তাঁর দাবি, দক্ষ শ্রমিকরা নতুন এবং বেশি অর্থ হাতে পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। মাঝারি দক্ষ শ্রমিকদেরও আরও ভাল কাজ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে অদক্ষ শ্রমিকদেরও নিজের নিজের এলাকায় কাজ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সীতারমণ বলেন, জিএসটি আদায় বৃদ্ধি আশার আলো জাগিয়েছে। প্রায় আট মাস ধরে চলা করোনা পর্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিএসটি আদায় হয়েছে অক্টোবরেই, যার পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় ১০.২ শতাংশ বেশি।এ ছাড়া নির্মলার দাবি, দু’চাকার গাড়ি এবং অন্যান্য গাড়ির বিক্রি, রপ্তানি, প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ, পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্সের(PMI)বৃদ্ধি ক্ষত সারিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

উল্লেখ‌্য, সোমবারই আইএইচএস মার্কিট ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) জানিয়েছে, অক্টোবরেই দেশের কল-কারখানায় উৎপাদন গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই মাসে বৃদ্ধির সূচক পৌঁছেছে ৫৮.৯ শতাংশে, যা ২০১০ সালের মে মাসের সূচকের থেকেও বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই সূচক ৫০-এর উপরে থাকার অর্থ উৎপাদন বাড়ছে। আইএইচএস মার্কিট-এর সহকারী অধিকর্তা পলিআন্না ডি লিমা বলছেন, “বছরের শুরুতে করোনার কারণে উৎপাদন শিল্পে যে সঙ্কোচন হয়েছিল তা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।” যদিও তারা জানিয়েছে যে উৎপাদন বাড়লেও বহু সংস্থা বিপুলভাবে কর্মী ছাঁটাই করেছে। এদিকে, সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির (CMIE) প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, অক্টোবরে ভারতে বেকারের হার বেড়ে হল ৬.৯৮ শতাংশ। সেপ্টেম্বরেই ছিল ৬.৬৭ শতাংশ। কিন্তু এই সময় শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার কমেছে। শহরাঞ্চলে যেখানে গত সেপ্টেম্বরে বেকারত্বের হার ছিল ৮.৪৫ শতাংশ, তা অক্টোবরে কমে হয়েছে ৭.১৫ শতাংশ। বলা হচ্ছে, দীর্ঘ লকডাউন কাটিয়ে আনলক পর্বে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে। সে কারণেই শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার কমেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.