বাদল অধিবেশনের আগে সর্বদলীয় বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেই বৈঠকে ছিলেন ৩৩ দলের প্রতিনিধিরা। সর্বদলীয় বৈঠকে নমো আশ্বাস দিয়েছেন, সরকার নিয়মের মধ্যে যে কোনও বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনার জন্য তৈরি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্যসভার দলনেতা পীযূষ গোয়েল ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।
এ ছাড়া বিরোধী দলগুলির মধ্যে কংগ্রেসের তরফে ছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী, মল্লিকার্জুন খড়গে-সহ অন্যান্য নেতারা। তৃণমূলের, ডেরেক ও ব্রায়েন, ডিএমকের তিরুচি সিভা, সমাজবাদি পার্টির রাম গোপাল যাদব, বহুজন সমাজ পার্টির সতীশ মিশ্র, আপনা দলের অনুপ্রিয়া পটেল ও এলজেপির পশুপতি পরসও ছিলেন সর্বদলীয় বৈঠকে।
বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে ১৯ জুলাই। সেখানে কেন্দ্রের ৩০টি বিল আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী সাফ বুঝিয়ে দিলেন বিল আসলেও কোনও আলোচনা এড়িয়ে যেতে চায় না সরকার। তবে তা অবশ্যই নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সমস্যা, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বাদল অধিবেশনে আলোচনা করতে পারে বিরোধীরা। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু শনিবার প্রত্যেকটি দলকে আর্জি জানিয়েছেন যেন সংসদে মহামারি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়, যাতে মানুষের সমস্যা সমাধান হবে। উল্লেখ্য বৈঠকের আগেও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানিয়েছিলেন, বিরোধীদের সমস্ত ইস্যু নিয়েই কথা বলতে সরকার প্রস্তুত। করোনাকালে সীমীত সংখ্যক লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্য, সংসদের আধিকারিক ও কর্মীদের নিয়ে বাদল অধিবেশন হবে। জিরো আওয়ার ও প্রশ্নোত্তর পর্ব মিলিয়ে সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা অবধি অধিবেশনের সময় রাখা হয়েছে। বাজেট অধিবেশনের মতো সময় কমছে না।