রিজার্ভ ব্যাংক ২৯ অক্টোবর বন্ধন ব্যাংকের উপর এক কোটি টাকার জরিমানা জারি করল কারণ এই ব্যাংকটি নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রোমোটারের শেয়ারের পরিমাণ ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারেনি৷
২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে রিজার্ভ ব্যাংকের কাছ থেকে পরিপূর্ণ ব্যাংক ব্যবসা করার জন্য লাইসেন্স পায় এই মাইক্রোফিনান্স সংস্থা বন্ধন ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস। সেক্ষেত্রে লাইসেন্সের প্রধান শর্ত ছিল দুটি-১) ব্যাংক ব্যবসা শুরু করার তিন বছরের মধ্যে বাজারে শেয়ার বিক্রি করে শেয়ার বাজারে নাম নথিভূক্ত করতে হবে এবং ২) নন-অপারেটিভ ফিনান্সিয়াল হোল্ডিং কোম্পানির বা কোনও ব্যবসা নেই এমন কোনও আর্থিক সংস্থা ব্যাংকের প্রোমোটার সংস্থা হলে ব্যাংকটিতে সেই সংস্থার অংশিদারিত্ব ৪০ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনতে হবে।
সেই মতো এই ব্যাংকটি তৈরির তিন বছরের মাথায় এ বছর মার্চে বন্ধন ব্যাংক বাজারে শেয়ার ছেড়ে নাম নথিভুক্ত করে এবং তার জেরে বন্ধন ব্যাংকের প্রোমোটার বন্ধন ফিনান্সিয়াল হোল্ডিংস লিমিটড-এর অংশিদারিত্ব ৮৯.৬২ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়ায় ৮২.২৮ শতাংশে। অর্থাৎ পুরোপুরি শর্ত মানা হয়নি, ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়নি৷কিন্তু ২০১৮ সালের ২৩ অগস্টই বন্ধন ব্যাংকের তিন বছর পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
ফলে গত বছর সেপ্টেম্বরে মাসেই ব্যাংকিং লাইসেন্সের শর্ত ঠিকমতো না মানায় আপাতত এই ব্যাংকের নতুন শাখা খোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে রিজার্ভ ব্যাংক৷ পাশাপাশি এই ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক চন্দ্রশেখর ঘোষের বেতন বৃদ্ধির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দেশের শীর্ষ ব্যাংক৷
সেই ঘটনার এক বছর পরেও শর্ত না মানায় এবার বন্ধন ব্যাংকের উপর এক কোটি টাকার জরিমানা ধার্য করল রিজার্ভ ব্যাংক৷ এদিকে এই ব্যাংকটি সম্প্রতি গ্রুথ ফিনান্সের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ হয়েছে যার ফলে প্রমোটারের শেয়ার ৮২.২৬ শতাংশ তেকে কমে ৬০.৯৬ শতাংশ হয়েছে৷ ঋণদাতা সংস্থাটি চেষ্টা করছে আরও শেয়ার কমিয়ে তা ৪০ শতাংশে আনা৷