বিশ্বভারতীর পর খড়গপুর আইআইটি-র সমাবর্তনে ভারচুয়ালি যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। আইআইটির পড়ুয়াদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে আত্মনির্ভরতার উপযোগিতার কথাও তুলে ধরেন তিনি। মোদির ভাষণে উঠে আসে স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার অবদানের কথা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে ফের একবার বাংলার ইতিহাস উঠে আসাকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মঙ্গলবার আইআইটি খড়গপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভারচুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তাঁর ভাষণে উঠে আসে আত্মনির্ভরতার কথা। মোদির কথায়, “একুশ শতকের ভারত বদলেছে। এখন আইআইটি আর শুধু ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট নয়, বরং IIT এখন ইন্সটিটিউট অফ ইনডিজিনিয়াস টেকনোলজি, অর্থাৎ ভারতীয় প্রযুক্তিকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া দায়িত্ব তাদের।” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী রবি ঠাকুরের উদ্ধৃতিও তুলে ধরেন। এদিন খড়গপুর আইআইটিতে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন করেন তিনি।
শুধু রবি ঠাকুর নয়, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এসেছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কথা। বলেছেন, খড়গপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদানের কথা। নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমাদের দেশ স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে পা রাখছে। এই স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার মানুষের অবদান মনে রাখার মতো। এখানকার ভূমি আন্দোলনকারীদের ভূমিকা ভোলার নয়। তাঁদের আত্মত্যাগ আইআইটির পড়ুয়াদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।” ইতিপূর্বে একাধিকবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাংলার মণীষী, ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিধানসভা নির্বাচনের আগে মোদির মুখে ফের বাংলার স্তুতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।