২০২৪-এর মকর সংক্রান্তিতে রামমন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবে রাম লালার বিগ্রহ। তবে, রাম-সীতার মূর্তি ভারতের কোনও এলাকার পাথর দিয়ে তৈরি হচ্ছে না। সেই শিলা আসছে নেপাল থেকে। নেপালের গণ্ডকী নদী থেকে তোলা পবিত্র দুটি শিলা থেকেই ভগবান রাম এবং সীতার বিগ্রহ তৈরি করে মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা করা হবে।
নেপালের মুক্তিনাথ জেলা থেকে দুটি বড় আকারের শিলা নিয়ে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় সম্পাদক রাজেন্দ্র সিং পঙ্কজ। এই পবিত্র শিলাগুলি শালগ্রাম শিলা নামে পরিচিত। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, এগুলি ভগবান বিষ্ণুর প্রকাশ। রাম মন্দির ট্রাস্টের ইনচার্জ প্রকাশ গুপ্তা জানিয়েছেন, শিলা দুটি ৫ থেকে ৬ ফুট লম্বা এবং প্রায় ৪ ফুট চওড়া। ওজন যথাক্রমে ১৮ এবং ১২ টন।
প্রথমে শাস্ত্রসম্মত ক্ষমাপুজো করা হয়েছে। এরপরে জিওলজিক্যাল এবং আর্কিওলজিক্যাল বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে পাথরটি খনন করা হয়। এখন এটিকে বড় ট্রাকে উঠিয়ে পুরো রাজকীয় সম্মানের সঙ্গে নিয়ে আসা হচ্ছে। যেখান, যেখান দিয়ে এই শিলা যাত্রা করেছে, সমস্ত রাস্তায় ভক্তজনেরা তা দর্শন করার জন্য এবং পুজো করার জন্য হাজির হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য যে, কালী গন্ডকী নদী, নারায়ণী নামেও পরিচিত। এই নদী শালিগ্রাম শিলার একমাত্র উৎস। শালগ্রাম শিলাগুলি ভগবান বিষ্ণু হিসাবে পূজিত হয় এবং ভগবান রামকে ভগবান বিষ্ণুর অবতার বলা হয়। নেপাল থেকে মূর্তি তৈরির পাথর আসাটাও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। রামায়ণ অনুযায়ী, সীতা ছিলেন নেপালেরই রাজা জনকের কন্যা। রাম নবমীতে যেমন ভারতে ভগবান রামের জন্মদিবস উদযাপন করা হয়, তেমনই নেপালের জনকপুরে শুক্লা পঞ্চমীর দিনে রাম ও সীতার বিবাহকে উদযাপন করা হয়।