আগামীকাল বুধবার ৫ আগস্ট অযোধ্যায় ঐতিহ্যমণ্ডিত রামমন্দির পুনর্নির্মাণের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে ভূমিপুজন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সুসজ্জিত হয়ে উঠবে ভারতের স্বাভিমানের প্রতীক রামমন্দির। তাই মন্দির পুনর্নির্মানের সূচনার পুণ্যলগ্নে প্রত্যেক ভারতীয়কে গৌরবান্বিত বোধ করা বাঞ্ছনীয়। হিন্দুস্থান তথা ভারতবর্ষের কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও সুসভ্যতার প্রতীক হচ্ছে অযোধ্যার রামলালার মন্দির।
বহু বছরের লাগাতার আন্দোলনের সুফল হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণা হওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে মন্দিরের সংস্কার ও পুনর্নিমানের কার্যসূচি। তাই এই মুহূর্তে প্রত্যেক ভারতবাসীকে আনন্দ ও গৌরবান্বত বোধ করাটা স্বাভাবিক। সঠিক অর্থে রামমন্দির হচ্ছে ভারতের রাষ্ট্রীয় গৌরব ও দেশের স্বাভিমানের প্রতীক। তাই বহু প্রতীক্ষিত এই মহৎ কাজে সকলের সমানতালে অংশগ্রহণে যথার্থ রামরাজ্যে প্রতিষ্ঠার উদ্দ্যেশ্য সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন সৈয়দ মমিনুল আওয়াল গরিয়া।
এই কথাগুলো নিজের ফেসবুক পেজে চার মিনিট এক সেকেন্ডের এক ভিডিও আপলোড করে দেশের হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ সহ প্রত্যেক ধর্ম নির্বিশেষে সকলের উদ্দ্যেশ্যে এই ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন অসম প্রদেশ বিজেপি-র অন্যতম মুখপাত্র তথা রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ মমিনুল আওয়াল গরিয়া। সৈয়দ মমিনুল আওয়াল রামরাজ্যের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, রামরাজ্যের অর্থ সুখ, শান্তি, প্রগতি তথা সর্বশ্রেণির মানুষের সামগ্রিক উন্নতিসাধনের প্রক্রিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সব-কা সাথ সব-কা বিকাশ ও সব-কা বিশ্বাস স্লোগানের অন্তর্নিহিত অর্থ ভালোভাবে ব্যাখ্যা করেন আওয়াল। মমিনুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী সকলের অভিমত ও বক্তব্যের সমানভাবে মান্যতা প্রদান করেন। সুতরাং রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সঠিক ও শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠনে সকলের এগিয়ে আসার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি আরও বিস্তৃতভাবে বলেন, রামমন্দির বা রামরাজ্য কোনও সম্প্রদায়-বিশেষ নয়। সংশ্লিষ্ট কোনও ধর্মের সংকীর্ণ বিষয়বস্তুও নয়। রামমন্দির শব্দের আপাদমস্তক অর্থ হচ্ছে ভারতবর্ষের সার্বিক কৃষ্টি-সংস্কৃতি, সিন্ধু সভ্যতা ও প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতার পূর্ণ নিদর্শন। তাই ভারতবর্ষ অর্থাৎ হিন্দুস্তানে বসবাসকারী প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নাগরিকের রাষ্ট্রীয় কল্যাণে এই শুভক্ষণে আনন্দ ও গৌরবান্বিত বোধ করে মন্দিরের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে মহৎ এই কার্যসূচিকে সফল করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ মমিনুল আওয়াল গরিয়া।
সৈয়দ মমিনুল আরও বলেন, ‘আমি নিজে ইসলাম ধর্মাবলম্বী। তবুও বলছি, ইসলাম ধর্মের মানুষজন ধর্মীয় নির্দেশানুসারে রোজা ব্রত পালন, নামাজ পড়া প্রভৃতি স্বাভাবিক কার্যসূচির পাশাপাশি হিন্দুস্তানের নাগরিক হিসেবে সকলের রাষ্ট্রীয় পরিচয় হিন্দু। তাই হিন্দুস্তানের রামমন্দির দেশের ঐতিহাসিক স্বাভিমান। অতএব রাষ্ট্রের এই খুশির মুহূর্তে সর্বশ্রেণির নাগরিক মাত্রেই আনন্দ উপলব্ধি করে সুষ্ঠু ও শক্তিশালী সমাজ গঠনের লক্ষ্যে সকলের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’