১৫ই জুন চিনের চোখে চোখ রেখে লড়ছিলেন এই জওয়ানরা। তাঁদের অনেকেই শহিদ হয়েছেন, গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি বেশ কয়েকজন জওয়ান। তাঁদেরই মনোবল বাড়াতে লাদাখে ১৬ বিহার রেজিমেন্টের জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।এদিন জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
দুদিনের সফরে বিহার রেজিমেন্টের জওয়ানদের সাহসিকতার প্রশংসা করে রাজনাথ বলেন আপনাদের জন্য দেশ গর্বিত। রবিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে এক ট্যুইট বার্তায় একটি ভিডিও তুলে ধরা হয়। সেখানে লাদাখের প্যাংগং লেকের ধারে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে জওয়ানদের সাথে কথা বলতে দেখা যায়। করমর্দন করে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বিহার রেজিমেন্টের কলোনেল সন্তোষ বাবু চিনা আগ্রাসন প্রতিহত করতে গিয়ে শহিদ হন। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সেদিন রাতে ভারত নিজের বীর জওয়ানদের হারায়।
১২,০০০ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন এলওসিতে ভারতীয় সেনার অত্যন্ত স্পর্শকাতর পোস্টও ঘুরে দেখলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। উত্তর কাশ্মীরে কেরান সেক্টরের এই পোস্টে প্রায়ই জঙ্গিরা গুলি ছোঁড়ে ও সীমান্তের ওপার থেকে পাকিস্তানি সেনারাও প্রায়শই এই পোস্ট লক্ষ্য করে ফায়ারিং করে।
উল্লেখ্য তিনি ইতিমধ্যেই এলওসিতে যে কোনও পাকিস্তানি হামলার দৃঢ় জবাব দিতে ও জঙ্গিদেরকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করার জন্য কড়া জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজনাথ সিং।
উত্তর পাহাড়ির এই পোস্টে রাজনাথ সিং-এর সঙ্গেই হাজির ছিলেন, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, আর্মি চিফ জেনারেল এম এম নারভানে, নর্থান আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াই কে জোশী এবং কমান্ডার অফ চিনার কর্পস জেনারেল বিএস রাজু। এই পোস্টে আসার আগে অমরনাথও দর্শন করেন রাজনাথ সিং।
এই পাহাড়ি পোস্টে সেনারা প্রতিদিন শত্রুর গুলির মুখোমুখি হয়। একদিকে যেমন বারবার জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ আটকানো হয়, অন্যদিকে পাকিস্তানি সেনাকেও এখান থেকে কড়া জবাব দিতে হয়, নিয়মিত ভাবেই।
এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, কেরান সেক্টরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং শীর্ষ সেনাবাহিনীর এই সফর আসলে পাকিস্তানকে বার্তা দিচ্ছে যে, যদি কাশ্মীরে কোনও সমস্যা তৈরি হয়, তবে ভারত তাঁর উপযুক্ত জবাব দেবে।