কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানী দিল্লিতে
রাষ্ট্রীয় যুদ্ধ স্মারকে গিয়ে বীর শহীদ সেনানীদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করলেন
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এই উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স
স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা।
রবিবাসরীয় সকালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) নিজের
টুইট বার্তায় লিখেছেন, কঠিনতম পরিস্থিতির মধ্যে দেশকে রক্ষার জন্য যে সকল বীর সেনানী
লড়াই করে গিয়েছেন কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে তাদের প্রত্যেককে কুর্নিশ জানাই। রাষ্ট্রীয়
যুদ্ধ স্মারক বা নেশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে গিয়ে শহীদ স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এর
পর রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, গর্বের পরম্পরার উৎসব হচ্ছে কার্গিল বিজয় দিবস। দেশবাসী
তার বীরদের আত্ম বলিদানকে কোনদিন ভুলবে না। কার্গিল যুদ্ধ ছিল ভারতের আত্মমর্যাদা,
বীরত্ব এবং দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের প্রতীক। এই যুদ্ধ উৎকৃষ্ট সামরিক কৌশল, অনুকরণীয় বীরত্ব
এবং বলিদান সেই গৌরবজ্জ্বল পরম্পরাই প্রতীক। এই দিবস ভারতীয় সেনাবাহিনীর শৌর্য, বীরত্বের
উৎসবের উদযাপন। এই উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় যুদ্ধ স্মারকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের
প্রতিমন্ত্রী শ্রীপদ নায়ক।তিনি জানিয়েছেন, সেই সকল বীরদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি
যারা দেশকে রক্ষার্থে নিজের জীবনের বলিদান দিয়েছেন। গবেষণা, উদ্ভাবন এবং মহাকাশ বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্ব আগামী দিনে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করবে।
উল্লেখ করা যেতে পারে ১৯৯৯
সালে জম্মু-কাশ্মীরের কার্গিল সেক্টরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে
অবতীর্ণ হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। কার্গিল, দ্রাস, বাটালিক সেক্টর, টাইগার হিল থেকে
পাকবাহিনীকে বিতাড়িত করেছিল ভারতীয় সেনা। প্রায় ৫০ দিন ধরে এই যুদ্ধ চলে। অত্যাধুনিক
বোফর্স কামান ব্যবহার করার পাশাপাশি ভারতীয় বায়ুসেনা প্রথমবার উপমহাদেশের যুদ্ধে
লেজার গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল। এই যুদ্ধে গেম চেঞ্জার হয়ে উঠে আসে তৎকালীন শ্রেষ্ঠ যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০।