নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সারা রাজ্যে। রবিবার শুধু মুর্শিদাবাদেই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৫টি ট্রেন। এছাড়াও শুক্রবার থেকে চলা বিক্ষোভ রাজ্যের বহু রেল স্টেশনে ও ট্রেনে ব্যাপক ভাঙ্গচুর চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। দু’দিনের বিক্ষোভে ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে শুধুমাত্র খড়্গপুর ডিভিশনেই ক্ষতি হয়েছে সাড়ে ১৫ কোটি টাকার উপরে বলে জানিয়েছে রেল। মুর্শিদাবাদে ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানানো হয়নি রেলের তরফে।
কখনো চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে, কখনো স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ভাঙ্গচুর করে, কখনো অবরোধ করে অথবা কখনো আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ক্যাব বিরোধী আন্দোলনকারীরা। ট্রেন ছাড়া নির্বিচারে ভাঙ্গচুর চালানো হয়েছে স্টেশন গুলিতেও। এতে যেমন আহত হয়েছেন মানুষ তেমন নষ্ট হয়েছে ব্যাপক হারে সরকারি সম্পত্তি। বিরাট ক্ষতি হয়েছে রেলের।
শুধুমাত্র খড়্গপুর ডিভিশনেই বিক্ষোভের সময় ভাঙ্গচুরের কারণে রেলের ক্ষতি হয়েছে ১৫ কোটি ৭৭ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭৮৯ টাকা। এরমধ্যে সাঁকরাইল স্টেশনে ক্ষতির পরিমাণ ৬৭ লক্ষ ১৬ হাজার ৫০০ টাকা, উলুবেড়িয়া স্টেশনে ৪৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭০৫ টাকা। এছাড়াও এই ডিভিশনে ভাঙ্গচুর হয়েছে চেঙ্গাইল, ধলপুর, ফুলেশ্বর ও বাউড়িয়া স্টেশনে। এই ডিভিশনে ট্রেন ভাঙচুরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪ কোটি ২৩ লক্ষ ৩৪ হাজার,৬২৪ টাকা। যে ট্রেনগুলিতে ভাঙ্গচুর করা হয় সেগুলি হল, কান্ডারী এক্সপ্রেস, হামসফর এক্সপ্রেস, মুম্বাই মেইল, করমন্ডল এক্সপ্রেস।
বেশকিছু জায়গায় ইলেকট্রিক লাইন ও তার ছেঁড়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে রেলের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ১৫ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকার উপরে। এখনও মুর্শিদাবাদ সহ অন্যান্য জায়গার ক্ষয় ক্ষতির হিসাব রেল কর্তৃপক্ষ এখনও প্রকাশ করেনি।