করোনা সতর্কতায় এবার বাড়তি তৎপর পূর্ব রেল (Eastern Railway)। সংক্রমণের আশঙ্কা ঠেকাতে লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন গুলিতে ছড়ানো হচ্ছে জীবাণুনাশক, পাশাপাশি লিফলেট পোস্টার ও পাবলিক অ্যানাউন্সমেন্টের মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে যাত্রীদের। বিশ্বজুড়ে এখন সন্ত্রাসের অপর নাম করোনা। জমায়েত বন্ধ করতে কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে ইতিমধ্যেই বন্ধ করা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি, পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, বাতিল করা হয়েছে বাজেট-পরবর্তী অধিবেশন। জমায়েত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বন্ধ করা সম্ভব নয় যাত্রী পরিষেবা। শুধু লোকাল ট্রেন গুলি নয়, প্রতিদিনই প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন দূরপাল্লার ট্রেন গুলিতে। এমন পরিস্থিতিতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারতীয় রেলওয়ে?
এ বিষয়ে রেলের তরফে একাধিক উদ্যোগের কথা জানালেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (CPRO) নিখিল চক্রবর্তী। লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন গুলিতে ছড়ানো হচ্ছে জীবাণুনাশক। দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে এসি কামরা থেকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পর্দা ও ব্ল্যাঙ্কেট। লিফলেট, পোস্টারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্টেশনগুলোতে ভিডিও ও অডিও এনাউন্সমেন্ট এর মাধ্যমে করোনা নিয়ন্ত্রণে সতর্ক করা হচ্ছে যাত্রীদের। ট্রেনে যাত্রাকালীন সময়ে যদি কোন যাত্রি সমস্যায় পড়েন, সমাধানে এগিয়ে আসবেন রেলের ফ্রন্টলাইন স্টাফ, অর্থাৎ টিটি, লোকো পাইলট এবং গার্ডরা। এছাড়াও শিয়ালদা ডিভিশনের বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতাঃ প্রচারে ঘুরবে মোবাইল মেডিকেল ভ্যান প্রদীপ। ২৪ ঘণ্টা পরিষেবার জন্য খোলা হয়েছে রেলওয়ে হেল্পলাইন নাম্বার, যেখানে সমাধানের কথা জানাবেন রেলওয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
যাত্রাকালীন সময়ে কোনো যাত্রী অসুস্থ অবস্থায় চিহ্নিত হলে অতি দ্রুত তাকে স্থানান্তর করা হবে রেলওয়ে হাসপাতালে, যেখানে খোলা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। সবমিলিয়ে বিপুল পরিমাণ যাত্রীদের পরিষেবা দেবার মধ্যে করণা ঠেকানই এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ রেলওয়ের কাছে।