ফের ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হল রাহুল গাঁধীকে। এবার নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন কংগ্রেস সভাপতি। উল্লেখ্য, এদিন রাহুলের হলফনামায় ক্ষমা চেয়ে বলা হয়, অনিচ্ছাকৃতভাবে রাফায়েল মামলার সঙ্গে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মন্তব্য জুড়ে হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মন্তব্যের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চেয়েছিলেন রাহুল। যদিও সেদিন রাহুল গাঁধীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, রাহুলের দেওয়া হলফনামায় তিনটি ভুল ছিল। ফলে বুধবার ফের এই মামলার শুনানি হয়। এদিন আদালতে অতিরিক্তি হলফনামা জমা করা হয় রাহুল গাঁধীর তরফে।
উল্লেখ্য, এর আগে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মন্তব্যে দুঃখপ্রকাশ করলেও সরাসরি ক্ষমা চাননি রাহুল। এদিকে শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে একটি মন্তব্যের জন্য রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগও ওঠে। সম্প্রতি রাফয়েল নথি নিয়ে রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ‘চুরি যাওয়া’ রাফায়েল নথি বিচার প্রক্রিয়ায় গ্রাহ্য হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাহুল মন্তব্য করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টও স্পষ্ট করল ‘চৌকিদার চোর’। এরপরেই রাহুলের মন্তব্য আদালত অবমাননার সামিল বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। সেবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন বিজেপি সাংসদ মিনাক্ষী লেখি।
যে ঘটনার পর রাহুলের মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তখন কোর্টের নোটিশ পেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন রাহুল। যদিও তাঁর সাফাই ছিল, ভোটের উত্তপ্ত প্রচারে এ ধরনের মন্তব্য অনিচ্ছাকৃতভাবে করে ফেলেন তিনি। যার জন্য তিনি দুঃখিত।
যদিও, সেদিন রাহুল ভুল স্বীকার করলেও মন গলেনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের। ধমক দেওয়া হয় কংগ্রেস সভাপতিকে। হলফনামা দিয়ে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। সে কারণেই এদিন হলফনামা জমা দেন রাহুল। যেখানে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মন্তব্যের জন্য সরাসরি নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাহুল গাঁধী।