গত মঙ্গলবারই শ্রীনগর বিমান বন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদকে। এরপর শনিবার কাশ্মীরের অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য যেতে চেয়েছিলেন ১১ টি বিরোধী দলের প্রতিনিধি। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। বিরোধীদের আদৌ কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল পর্যবেক্ষকদের। সেই সন্দেহই সত্য হল। শ্রীনগর বিমান বন্দর থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হল রাহুলদের।
শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ শ্রীনগর বিমান বন্দরে পৌঁছায় বিরোধীদের প্রতিনিধি দল। এদিনই শ্রীনগরের নানা অঞ্চলে তাঁদের যাওয়ার কথা ছিল।
শুক্রবারই জম্মু-কাশ্মীরের তথ্য ও জনসংযোগ দফতর থেকে শুক্রবার রাহুলদেরও আসতে বারণ করা হয়েছিল।
জম্মু-কাশ্মীরের জনসংযোগ দফতর থেকে টুইট করে বলা হয়, রাজনৈতিক নেতাদের এই সময় শ্রীনগরে যাওয়া উচিত নয়। তাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে। পরে টুইটে বলা হয়েছে, এই সময় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ ও হামলা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে…।
এদিন বিরোধী দলগুলির যে প্রতিনিধিরা কাশ্মীরে যান, তাঁদের মধ্যে ছিলেন সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদী, ডিএমকে-র তিরুচি শিবা, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মনোজ ঝা প্রমুখ।
সরকারের টুইটের জবাবে গুলাম নবি আজাদ বলেছিলেন, আমরা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল। আমরা আইন ভাঙতে যাচ্ছি না। জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। পুরো এলাকা ২০ দিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে। কোনও খবরই আসছে না। সরকার বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাহলে নেতাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না কেন?
এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক রাহুলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। গত ১১ অগস্ট তিনি বলেন, আমি রাহুলকে এখানে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমি তাঁকে একটি বিমানও পাঠিয়ে দেব। তিনি নিজের চোখে পরিস্থিতি দেখে তবে যেন মুখ খোলেন। দু’দিন বাদে রাহুল আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তখন রাজ্যপাল আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নেন। তিনি বলেন, রাহুল বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন। তিনি অন্যান্য বিরোধী নেতাকে এখানে এনে গোলমাল পাকাতে চান।