কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী পুরোপুরি পাকিস্তানের ভাষা বলেন, সেটা আবার প্রমাণিত হল। ভারতের সংসদে জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর যেখানে চীন, আমেরিকা, রাশিয়া আর সংযুক্ত রাষ্ট্র ভারতের সমর্থন করেছে। সেখানে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করে পাকিস্তানের ভাষা বলেছেন। জম্মু কাশ্মীর নিয়ে বারবার মিথ্যে কথা বলা পাকিস্তান এখন রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ভারতকে আক্রমণ করেছে।
যেখানে ভারতীয় সেনা, জম্মু কাশ্মীর পুলিশ এবং জম্মু কাশ্মীরের আমলারা বলছে যে, উপক্যায় শান্তি বজায় আছে। ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর সেখানে একটিও গুলি চলেনি। মিডিয়াতেও যেই ভিডিও গুলো দেখানো হচ্ছে, সেখানেও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে জম্মু কাশ্মীরের মানুষ ভয়কে দূরে রেখে অত্যন্ত আনন্দের সাথে বকরি ঈদ পালন করছেন। সেখানে রাহুল গান্ধী কেরলে বসে জেনে যাচ্ছেন যে, কাশ্মীরে অশান্তি ছড়াচ্ছে আর মানুষ মরছে।
রাহুল গান্ধী বলেন, আমি শুনেছি কাশ্মীরে অশান্তি হচ্ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীর নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন, মানুষকে সত্যিটা বলছেন না তিনি।” তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলুক কাশ্মীরে কি হচ্ছে?
পাকিস্তান রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অপশব্দ ব্যাবহার করে, যেটা কোন ভারতীয় অন্তত রিপিট করতে পারবেনা। পাকিস্তানের সাংবাদিক হামিদ মীর রাহুল গান্ধীর ভিডিও শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে খুবই অপমান জনক শব্দ ব্যাবহার করে। এই ভাষা এতটাই অভদ্র যে, আমরা সেটিকে বাংলায় লিখতে পারছিনা!
শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এর রাজনৈতিক দল তেহরিক এ ইন্সাফ এর সাংসদ মুরাদ সইদও রাহুল গান্ধীর ওই ভিডিও শেয়ার করে অপমান জনক ট্যুইট করে। মুরাদ সইদ ট্যুইট করে লেখে, ‘এদের নিজের মানুষই এদের বিরোধিতা করছে, তাও গোটা বিশ্ব চুপ।” হামিদ মীর আর মুরাদ সইদ এর এই ট্যুইট দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, পাকিস্তানের এখন পোস্টার বয় হয়ে গেছে রাহুল গান্ধী।