বিজেপি আগেই অভিযোগ করেছিল, অমেঠীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। ভোটের দিন স্মৃতি অভিযোগ করলেন, রাহুলকে জেতাতে বুথ দখলে নেমেছে কংগ্রেস। তিনি টুইট করে নির্বাচন কমিশনে বুথ দখলের অভিযোগ করেছেন।
তাঁর কথায়, আমি টুইট করে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি, এখানে বুথ দখল করা হচ্ছে। আশা করি, তারা ব্যবস্থা নেবে। পরে তিনি রাহুলের সমালোচনা করে বলেন, দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবেন, এই ধরনের রাজনীতি করার জন্য রাহুল গান্ধীকে শাস্তি দেওয়া উচিত কি উচিত নয়।
অমেঠীর এক বিজেপি কর্মী এদিন সকালে এক বৃদ্ধার বক্তব্য ভিডিও-য় তুলে টুইট করেন। তাতে দেখা যায়, তিনি বলছেন, আমি বিজেপির হয়ে ভোটযন্ত্রে বোতাম টিপতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে কংগ্রেসের হয়ে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আমাকে হাত ধরে পাঞ্জা ছাপের পাশের বোতাম টিপতে বাধ্য করেছে।
স্মৃতির অভিযোগ, হতাশ হয়ে রাহুল ভোট চুরি করতে নেমেছেন। তাঁর কথায়, কংগ্রেস বলে, চৌকিদার চোর হ্যায়। কিন্তু রাহুল নিজে ইতিমধ্যেই জমি চুরি করেছেন। এবার তিনি ভোট চুরি করতে নেমেছেন। রাহুলকে এজন্য জবাব দিতে হবে। প্রশাসনও ব্যাপারটা দেখছে।
স্মৃতির অভিযোগ উড়িয়ে কংগ্রেস বলেছে, তিনি হেরে যাবেন জেনেই এমন অজুহাত দিচ্ছেন। কংগ্রেসের মুখপাত্র জিশান হায়দার বলেন, স্মৃতি জানেন, তিনি হেরে গিয়েছেন। তাই তিনি অজুহাত খুঁজছেন। রাহুল গান্ধীজি যদি বুথ দখল করেন, ভোট চুরি করেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন কী করছে? তারা তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের হয়ে কাজ করে।
এর আগে এদিনই স্মৃতি কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে কটাক্ষ করে বলেন, এখন তিনি নিজের স্বামীর চেয়ে আমার নাম বেশি করেন। এই হল আমার সাফল্য। পাঁচ বছর আগে অমেঠীতে রাহুলের হয়ে প্রচারে এসে প্রিয়াঙ্কা প্রশ্ন করেছিলেন, স্মৃতি ইরানি কে? স্মৃতি এদিন সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।
অমেঠীতে এবার রাহুল বনাম স্মৃতি সরাসরি লড়াই হচ্ছে। সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি। রাহুল অমেঠী বাদে কেরলের ওয়ানাড় কেন্দ্র থেকেও দাঁড়িয়েছেন। বিজেপির দাবি, হেরে যাওয়ার ভয়েই দ্বিতীয় একটি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন রাহুল।