আমেঠিতে হেরে যেতে পারেন, সেই জন্যই কি কেরলে ওয়েল্যান্ড আসনে প্রার্থী হতে চলেছেন রাহুল গান্ধী? এবছর আমেঠির সঙ্গে কেরলেও প্রার্থী হচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি। গতবার রাহুলকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলে দিয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। এবারও আমেঠি কেন্দ্রে রাহুলের বিপক্ষে স্মৃতি ইরানিকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাই কি নিরাপদ আসনের খোঁজে কেরলে সোনিয়া তনয়, প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে রাহুল গান্ধীকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে প্রার্থী হওয়ার। আর কংগ্রেসের এই প্রস্তাবকে নির্বাচনের হাতিয়ার করেছে বিজেপি ও সিপিএম। বিজেপি দাবি করেছে আমেঠিতে হারের ভয়েই কেরলের নিরাপদ আসনের প্রার্থী হতে চলেছেন সোনিয়া পুত্র।
অন্যদিকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন,কংগ্রেসের উচিত তাদের মূল প্রতিপক্ষ স্পষ্ট করা।কেরলে যদি রাহুল প্রার্থী হয়, তাহলে সেখানে তার প্রতিপক্ষ বিজেপি নয়। বামেরাই তার মূল প্রতিপক্ষ।
চলতি মাসের শুরুতেই কংগ্রেস ঘোষণা করেছিল রায়বেরেলিতে সোনিয়া ও আমেঠিতে রাহুল গান্ধী প্রার্থী হচ্ছেন। কিন্তু স্মৃতি ইরানি যেভাবে ৫ বছরএকনিষ্ঠ ভাবে আমেঠিতে পড়েছিলেন তাতে সেখানে বিজেপির পক্ষে জনমত যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আমেঠিতে রাহুলের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ স্মৃতি ইরানি। সেই জন্যই সম্ভবত নিরাপদ আসন খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন সোনিয়া তনয়।
কিন্তু দক্ষিণের নেতা ওমেন চান্ডির দাবি তারা চেয়েছেন, দক্ষিণ ভারতে কংগ্রেসের দাপট বাড়াতে সেখানকার একটি আসন থেকে লড়াই করুক রাহুল গান্ধী। তার জন্য একাধিক আসন বাছাই করার সুযোগ তাকে দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত রাহুল এই আসনটি বেছে নেন। এমনিতে এই আসনে কংগ্রেসকে নতুন প্রার্থী বাছাই করতে হোতো। যদিও উত্তর ভারতের সঙ্গে দক্ষিণের কোন আসন থেকে লড়াই করার ঘটনা গান্ধী পরিবারে নতুন নয়। এর আগে ইন্দিরা গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধী কর্নাটক থেকে প্রার্থী হয়েছেন। তবে রাহুল কেরলের আসন বেছে নেওয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক।