লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির দায় নিজের কাঁধে নিয়েও দলের প্রবীণ নেতাদের দুষলেন রাহুল গান্ধী৷ দলের থেকেও রাজনীতিতে ছেলেদের কেরিয়ার দাঁড় করানোর চিন্তাতেই ভোটে কংগ্রেসের এই শোচনীয় ফল৷
শনিবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকে কংগ্রেস৷ সূত্রের খবর, সেখানে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের মতো প্রবীণ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন রাহুল৷
তাঁর প্রধান অভিযোগ, প্রবীণ নেতারা দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করার থেকেও ছেলেদের রাজনৈতিক কেরিয়ার গোছানতেই ডুবে ছিলেন বেশি৷ নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই সন্তানদের জন্য লোকসভার টিকিট আদায় করতে হত্যে হয়ে পড়েছিলেন৷ শুরু থেকে রাহুলের তাদের পুত্রদের টিকিট দেওয়ার কোনও ইচ্ছা ছিল না৷ কিন্তু চাপের মুখে নতিস্বীকার করেন৷
ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে দলের হার নিয়ে পযার্লোচনা চলছিল৷ এমন সময় জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলে ওঠেন, দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে স্থানীয় নেতাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে৷ রাহুল যেন সিন্ধিয়ার এই কথারই অপেক্ষা করছিলেন৷ সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠেন, ‘‘নিচু স্তরের নেতারা খাটবেন৷ আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা দলকে চাপ দিয়ে তাদের ছেলেদের জন্য টিকিট আদায় করবেন?’’ একথা বলেই অশোক গেহলট, পি চিদম্বরমের মুখের দিকে তাকান তিনি৷ একমাত্র কমল নাথ বিশেষ কারণে ওর্য়াকিং কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না৷ তবে কারোর কারোর মতে, রাহুলের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হবে জেনেই আর বৈঠকমুখো হননি কমলনাথ৷
এবারের লোকসভা ভোটে অশোক-কমল-চিদম্বরম পুত্ররা ভোটে দাঁড়ান৷ অশোক পুত্র বৈভব ছাড়া বাকি দুই নেতার ছেলে ভোটে জয় পান৷ কমল নাথের ছেলে নকুন ছিন্দওয়ারা লোকসভা আসনের প্রার্থী হন৷ অন্যদিকে চিদম্বরম পুত্র কার্তি শিবাগঙ্গা কেন্দ্রে থেকে জিতে সাংসদ হন৷ এই বৈঠকে দলের শোচনীয় হারের জন্য রাহুল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন৷ তবে তাতে বাধা দেন অন্যান্য নেতারা৷ সূত্রের খবর, রাহুল এখনও ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড়৷