ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার কাশ্মীরের মুসলমানদের প্রতি দমনমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর তীব্র বিরোধিতা করা হবে। এমনই অভিযোগ তুলে ফের ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলিয়ে বিক্ষোভে সামিল ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ সংগঠন।
ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে প্রশাসন কঠোর হচ্ছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলি বাহিনি। সম্প্রতি ভারতে বিভিন্ন সময় সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর হামলা ও পিটিয়ে মারার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করে ইসলামি আন্দোলন। সেবার তাদের ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও অভিযান রুখে দেয় সরকার।
মঙ্গলবারও ইসলামি আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ঘিরে সতর্ক প্রশাসন। সংগঠনটির অভিযোগ, কাশ্মীরে মুসলিমদের উপর দমন অভিযান চালানো হচ্ছে। এর প্রতিবাদে বিরাট জমায়েত হবে ঢাকায়। বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রধান নেতা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে হবে জমায়েত। তাদের অভিযোগ, ‘ভারতের সংবিধানের ৩৫ -ক ধারা এবং ৩৭০ অনুচ্ছেদ কাশ্মীরকে যে মর্যাদা দিয়েছে তা বাতিল করেছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার।’
এদিকে অবস্থা আয়ত্তে রাখতে তৎপর ঢাকা মহানগর পুলিশ। মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট বাহিনি। যে কোনও রকম উত্তেজনা থামাতে প্রস্তুত পুলিশের কমব্যাট দল। রয়েছেন মহিলা পুলিশ কর্মীরা।
ভারতীয় দূতাবাস সবসময়ই ভিড়ে ঠাসা থাকে। বহু বাংলাদেশি ভিসা নিতে এখানে ভিড় করেন। দূতাবাসের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বারে বারে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হন বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে খোদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিযোগ করেছেন প্রিয়া সাহা নামে এক বাংলাদেশি। তাঁর মন্তব্যের পরেই বাংলাদেশে ছড়িয়েছিল ক্ষোভ। একাধিক মহল থেকে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া হয়। তিনি এখন মার্কিন মুলুকেই রয়েছেন।
এই প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধেও তীব্র ক্ষোভ দেখিয়েছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ সংগঠনটি। তবে এবার তাদের ইস্যু কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন রদ করা।