বৃহস্পতিবারও দেশের নানা প্রান্তে নয়া আইন নিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা বহাল | দিল্লিতে ও মুম্বইয়ে এপর বিরুদ্ধে জন মিছিল করার কথা আগেই প্রচার করেছিল বিক্ষোভকারীদের | অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেই | দিল্লি পুলিশ যদিও সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন | মিছিল করা যাবে না বলে ফরমান জারির সঙ্গে সঙ্গে মিছিলের পুরোভাগে থাকা যোগেন্দ্র যাদব ও ইতিহাস বিদ রাম গুহ সহ প্রায় ১০০জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে দিল্লি পুলিশ |
বুধবার বেঙ্গালুরুতে মশাল হাতে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ নিয়ে বেঙ্গালুরুতে মিছিল বের করে পড়ুয়ারা | তারপরই নড়েচড়ে বসে সেখানকার প্রশাসনও | অন্যদিকে ,দুই বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ ও কর্ণাটকে সংশোধিত আইন নিয়ে যে কোন রকমের বিক্ষোভ,প্রতিবাদ কর্মসূচির উপর ১৪৪ধারা লাগু করল সেখানকার রাজ্য সরকার |
আর তানিয়ে দানা বাঁধল নয়া বিতর্ক | ১৪৪ধারা লাগু করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব একাধিক মানুষ | তাদের মতে ,শীর্ষ আদালতের বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করার যে গণতান্ত্রিক নাগরিক অধিকারের পরিপন্থী এই সিদ্ধান্ত |
যদিও রাজ্যের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দাবি,জনসাধারণের সুরক্ষার দিকে নজর রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে | এর মাধ্যমে অবৈধ জমায়েতকে আটকানো হবে |
নাগরিকত্ব সশোধনী আইনকে ঘিরে যে ভাবে বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে সরকারি কার্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে সে দিকে নজর রেখেই এটি করা জরুরি হয়ে পড়েছিল বলে মত রাজ্যগুলির প্রশাসনের | চারজনের অধিক মানুষ জমায়েত হলেই ১৪৪ধারা অনুযায়ী তাদেরকে গ্রেফতারের অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে পুলিশকে এর মাধ্যমে |
যদিও বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে লাগু হওয়া এই নির্দেশ কার্যকরী করা উত্তরপ্রদেশের মত বিশাল রাজ্যের পক্ষে কার্যত অসম্ভব,সেক্ষেত্রে অশান্তি প্রবণ জায়গা গুলিকে চিহ্ণিত করে সেগুলিতে এই নির্দেশ লাগু করার কথাও ভাবছে প্রশাসন | অন্যদিকে কর্ণাটকের টেক নগরী বেঙ্গালুরু তে এর জেরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তথ্য প্রযুক্তির কর্মীরা ,তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইটও করেন তারা |