শ্লীলতাহানির অভিযোগে বরখাস্ত প্রফেসর ফিরতেই আন্দোলনে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা

শ্লীলতাহানির অভিযোগ গত বছর বরখাস্ত হয়েছিলেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যার প্রফেসর এস কে চৌবে। কিন্তু সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি। আর তারপরেই আন্দোলনে নেমেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, অভিযুক্ত প্রফেসরকে ফের বরখাস্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে।

শনিভার রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই আন্দোলনে বসেন পড়ুয়ারা। এই আন্দোলনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়। রবিবার সকাল থেকে আরও পড়ুয়া যোগ দিয়েছেন আন্দোলনে। কালো ব্যানার লাগানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। তাঁদের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দিকে। পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না তাঁদের দাবি মানা হচ্ছে, তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

গত বছর ওড়িশাতে শিক্ষামূলক ভ্রমনে গিয়ে ছাত্রীদের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য ও অঙ্গভঙ্গি করার অভিযোগ উঠেছিল প্রফেসর চৌবের বিরুদ্ধে। তারপরেই ছাত্রীদের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে বরখাস্ত করে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দেয় কর্তৃপক্ষের কাছে। তাতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত প্রফেসরকে সতর্ক করে তাঁকে ফের কাজে যোগ দিতে বলা হোক। তারপরেই তিনি ফের কাজে যোগ দেন।

ইতিমধ্যেই আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রফেসরদের তরফে মুখপাত্র রাজেশ সিং জানিয়েছেন, “যতদিন তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আসেনি, প্রফেসর চৌবেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁকে সবথেকে কড়া শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে। তাঁর সার্ভিস রেকর্ডেও এই অভিযোগের কথা উল্লেখ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছেন।”

রাজেশ সিং আরও বলেন, “জুন মাসে ওই প্রফেসরকে কাজ যোগ দিতে বলা হয়েছিল। এটা সেপ্টেম্বর মাস। পড়ুয়াদের কাছে আবেদন, তাঁরা যেন আন্দোলন থেকে সরে আসে। তাঁদের কী অভিযোগ তা আমাদের জানাক। কিন্তু এভাবে আন্দোলন করা ঠিক নয়।”

অন্যদিকে পড়ুয়ারা নিজেদের দাবি থেকে সরে আসতে অনড়। তাঁদের অভিযোগ, ওই প্রফেসরের বিরুদ্ধে আরও অনেক শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। সেগুলোও তদন্ত করে দেখা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.