সারা ভারত জুড়ে লাভ জেহাদ মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে এবং নিস্তার নেই হিন্দু মেয়েদের। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে ঘটে এক ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব আলোচিত হচ্ছে।
টুইটারে এক সাংবাদিক পোস্ট করেছেন কীর্তি জৈন নাম সম্ভ্রান্ত পরিবারের এক মেয়ের কথা যে লাভ জেহাদের শিকার হয় শেষ পর্যন্ত আত্মহননের পথ বেছে নেয়, কারণ তার স্বামী ওয়াসিম তাকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে তো করে, কিন্তু বিয়ের পর শুরু করে অকথ্য নির্যাতন।
বছর তিনেক আগেকার ঘটনা। মধ্যপ্রদেশের গুনার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে কীর্তি স্কুলে যাওয়ার সময় ওৎ পেতে থাকতো ওয়াসিম, ক্রমান্বয়ে মেয়েটিকে লাভ জেহাদের জালে ফাঁসায়। একদিন কীর্তিকে নিয়ে সে পালায় ও পরে পুলিশের সাহায্যে মেয়েটিকে খুঁজে বার করা হলে, মেয়েটি বলে সে প্রাপ্তবয়স্কা ও নিজের মতেই বিয়ে করেছে ওয়াসিমকে। বিয়ের পর ওয়াসিম কীর্তির নাম রাখে জয়নাব ও ওয়াসিমের প্ররোচনায় মেয়েটি বাপের বাড়িতে ফোন করে জানায় তারা যেন তার সাথে যোগাযোগ না রাখে।
কিছুদিনের মধ্যেই মোহভঙ্গ হয় কীর্তির, কারণ চরম দারিদ্রের মধ্যে দিন কাটে তার ও অবশেষে পরিবারের লোকের কথা মনে হয় ।
তার দাদাকে ফোন করে টাকা চায়, কিন্তু দাদা তাকে বলে স্বশুর বাড়ি ছেড়ে চলে আসতে। তাতে রাজি হয়নি কীর্তি যে কিছুদিন পর গর্ভবতী হওয়ার পর আরো বিপদে পরে, কারণ ওয়াসিমের বাড়িতে তার ঠিক মতো পরিচর্যা হচ্ছিলো না। বাপের বাড়ি থেকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়, কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হয় নি স্বশুর বাড়ির লোক। টাকা চেয়ে শুরু করে অকথ্য নির্যাতন কীর্তির উপর। অবশেষে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিষপান করে আত্মহত্যা করে কীর্তি, কিন্তু
তার মৃতদেহ পর্যন্ত বাপের বাড়ির লোকদের দিতে চায় নি ওয়াসিমের পরিবার এই বলে যে তারা ইসলামিক রীতি অনুযায়ী কীর্তিকে দাহ করবে । আইনি জটিলতায় পরে শেষ মেশ দেহ হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়।
মরার আগে করা এক ভিডিওতে কীর্তিকে বলতে বাধ্য করা হয় তার মৃত্যুর জন্য ওয়াসিমের পরিবার দায়ী নয়, বলে অভিযোগ কীর্তির দাদার।