জেলার কোন কোন শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনে ব্যস্ত। তাঁদের নামের তালিকা পাঠিয়ে রিপোর্ট তলব করলো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শিক্ষা ভবন।
বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন মাদ্রাসা ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে পাঠানো এই নির্দেশিকায় উল্লেখিত তালিকায় শুধু হাইস্কুলেরই নয়। বেশ কয়েকজন প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও নাম রয়েছে। আগামী শুক্রবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রাইভেট টিউশনকারীদের সম্পর্কে রিপোর্ট তলবের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে জেলার শিক্ষক শিক্ষিকা মহলে।about:blank
জেলা শিক্ষা ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সমগ্র শিক্ষা মিশন-এর পক্ষ থেকে হাইস্কুল জুনিয়ার-হাইস্কুল প্রাইমারীস্কুল ও মাদ্রাসা গুলিতে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় স্কুল ও মাদ্রাসা গুলিতে কর্মরত শিক্ষক শিক্ষিকা যাঁরা বেআইনি ভাবে প্রাইভেট টিউশন করছেন। এমন মোট ১৫৯ জনের নামের তালিকাও পাঠানো হয়েছে। সেই তালিকায় হাইস্কুল জুনিয়ার হাইস্কুল ও মাদ্রাসার ১৩১ জন শিক্ষক শিক্ষিকার নাম রয়েছে।
বাকি ২৮ জন রয়েছেন প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক। তালিকায় উল্লেখিতদের মধ্যে বালুরঘাট শহরের নামী এক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নামও রয়েছে। নাম রয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুলের টি-আইসি ও বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের পদাধিকারী কয়েকজনেরও। নির্দেশিকায় স্কুল ও মাদ্রাসা গুলিকে নির্দেশ জানতে চাওয়া হয়েছে যে তালিকায় উল্লেখিত শিক্ষক শিক্ষিকারা আরটিই অ্যাক্ট ২০০৯/সেকশন-২৮ আইন লঙ্ঘন করছেন কি না। সে ব্যাপারে আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বহুদিন ধরেই বিভিন্ন স্কুলে কর্মরত শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেআইনি প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করার ব্যাপারে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন গৃহ শিক্ষকরা। তাঁরা বালুরঘাট সহ জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ যাঁরা আরটিই-অ্যাক্ট-২০০৯/সেকশন-২৮ কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চুটিয়ে প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে যাচ্ছেন। স্কুল ও মাদ্রাসার নাম সহ তাঁদের একটি তালিকা সমেত স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী গৃহশিক্ষকরা। দেরিতে হলেও স্কুল শিক্ষা দপ্তর প্রাইভেট টিউনকারী শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হওয়ায় খুশি গৃহশিক্ষকরা।