ভারতের সঙ্গে বহির্বিশ্বের কূটনৈতিক সম্পর্কে এক নতুন দিগন্ত খুলে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর আমলে। বহুমাত্রিক বৈদেশিক সম্পর্কের এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে তাঁর হাত ধরে। আর নমোর জনপ্রিয়তা শুধু ভারতেই নয়, বাইরের দেশগুলিতেও তিনি সমান সমাদৃত। হাউডি মোদীর মতো অনুষ্ঠান থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তার কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যায়। আর এবার ফের একবার মোদী ম্যাজিক গোটা বিশ্বে। জনপ্রিয় বিশ্ব নেতাদের তালিকায় এবার একেবারে শীর্ষে চলে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল রেটিং অর্থাৎ বিশ্বনেতাদের জনপ্রিয়তার সূচকে (Global Leaders Approval List) সবার উপরে উঠে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবারই আমেরিকার গবেষণা সংস্থা মর্নিং কনসাল্টের তরফে এই জনপ্রিয়তার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আর তাতে দেখা গিয়েছে, তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর প্রাপ্ত জনপ্রিয়তার রেটিং ৭০ শতাংশ, যা এই মূহূর্তে সর্বোচ্চ।
তালিকায় দেখা গিয়েছে, জনপ্রিয়তার নীরিখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জার্মান চ্যান্সেলন অ্যাঞ্জেলা মারকেলেও অনেকটা পিছনে ফেলে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
মর্নিং কনসাল্ট সংস্থার তরফে মোট ১৩ জন জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ৫৪ শতাংশ জনপ্রিয়তা নিয়ে অ্যাঞ্জেলা মারকেল রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। আর জো বাইডেন রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে, তাঁর জনপ্রিয়তার রেটিং ৪৪ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেতা হিসেবে উঠে আসার পর, তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ অন্যান্যরা। আজ দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকস্থলের বাইরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাট আউট লাগানো হয়েছিল। সেখানে লেখা রয়েছে, বিশ্বের প্রিয় নেতা।
উল্লেখ্য, এই বছরেরই শুরুর দিকে, মর্নিং কনসাল্ট একটি সমীক্ষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে “সরকারের প্রধানদের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয়” বলে অভিহিত করেছিল। এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ফের পৃথক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী সেই সময়ও বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় বিশ্বনেতা হিসাবে শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছিলেন।
দ্য মর্নিং কনসাল্ট সংস্থা প্রতি সপ্তাহে এই সমীক্ষা চালায় এবং পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতির উপর নজর রেখে এবং বাস্তব-সময়ের উপর ভিত্তি করে এই তালিকা প্রকাশ করে। জনপ্রিয়তার রেটিংয়ের জন্য এই সংস্থা নিম্নলিখিত দেশগুলির রাষ্ট্র নেতাদের রাজনৈতিক গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে- অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।