‘উত্তরপ্রদেশ মানেই উত্তম সুবিধা’ যোগী রাজ্যের পঞ্চম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শিলান্যাস করে বললেন মোদীজি।

বছর ঘুরতেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। দেশের সর্ববৃহৎ রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখাই বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তার আগেই উন্নয়নকেই প্রধান হাতিয়ার করে বিধানসভা নির্বাচনে ঝাঁপাতে চাইছে বিজেপি। উন্নয়েনর বার্তাকে আরও মজবুত করতে, বৃহস্পতিবার, উত্তর প্রদেশে গৌতমবুদ্ধ নগরে অবস্থিত নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

১৩০০ হেক্টর জমির উপর তৈরি এই বিশাল বিমানবন্দরটির কেবল প্রথম ধাপের কাজই শেষ হয়েছে এখনও অবধি। এই অংশটিই প্রতি বছর ১.২ কোটি যাত্রী পরিষেবা দিতে সক্ষম বলে জানানো হয়েছে। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ বিমানবন্দরই তৈরি হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিমানবন্দর হবে এটি। মূলত উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে গৌতম বুদ্ধ নগর, গাজিয়াবাদ, বুলন্দেশ্বর, আলিগড়ের মত ন্যাশানাল ক্যাপিটাল রিজিয়নের অন্তর্গত এলাকা গুলি আরও বেশি করে লাভবান হবে।

নয়ডাতে জেওয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শিলান্যাস করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন,”এই বিমান বন্দরের জন্য উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলের কোটি কোটি নাগরিক তথা দিল্লি এনসিআরের বাসিন্দারও উপকৃত হবে। নতুন এই বিমানবন্দর তৈরি শুধু হলে পরিকাঠামোগত উন্নয়নই হয় না, এরফলে অনেক মানুষের জীবন বদলে যায়। গরীব, দিন মজুর হোক বা মধ্যবিত্ত পরিবহন ক্ষেত্রে উন্নতি হলে সেই লাভ সকলেই পাবেন। এই বিমানবন্দর তৈরিল হওয়ার ফলে সহজেই দিল্লি, হরিয়ানাতে অল্প সময়েই পৌঁছে যাওয়া যাবে। খুব দ্রুতই দিল্লি মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের তৈরি হয়ে যাবে, ফলে বিভিন্ন শহরে যাতায়াত আরও অনেক সহজ হয়ে যাবে। দেশে বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে যে বিপুল পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে, তাতে নয়ডা বিমানবন্দরেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। এই বিমানবন্দর তৈরির ফলে কর্মসংস্থান বাড়বে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “প্রত্যেক বছর বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় বিমান মেরামতের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ হয়। অন্য দেশ সেই অর্থ নিয়ে চলে যায়। কিন্তু এই বিমানবন্দরে বিমান রাখার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিমান মেরামতের ব্যবস্থাও থাকবে।”

সমবেত জনতার ‘মোদী মোদী’ স্লোগানের মাঝেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০ বছর আগে উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার এই বিমানবন্দর নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন আজ সার্থক হচ্ছে। এর আগে যাঁরা সরকারে ছিলেন, তাঁরা তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, এখানে বিমানবন্দর দরকার নেই। কিন্তু ডবল ইঞ্জিন সরকারের কাজ করার ফলে এখন ‘উত্তর প্রদেশ মানেই উত্তম সুবিধা’। মোদী আর যোগী চাইলেই ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর এখানে এসে ছবি তুলে যেতে পারত। আগের সরকারের আমলে শুধু ছবি দেখে অভ্যস্থ হওয়ায় সাধারণ মানুষ বুঝতেও পারত না কিন্তু আমার প্রকৃত উন্নয়নে বিশ্বাসী। আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.