মোদি সরকারের ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র (Digital India) ৬ বছর পূর্ণ হল আজ, বৃহস্পতিবার। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ভিডিও কনফারেন্সে মুখোমুখি হলেন এর অন্তর্গত একাধিক প্রকল্প থেকে যাঁরা লাভবান হয়েছেন তাঁদের সঙ্গে। অনলাইনে যে শিশুরা পড়াশোনা করছে তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেই সঙ্গে DIKSHA প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষাদান করা শিক্ষকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, বিভিন্ন ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির সুবিধা পেয়ে সাধারণ মানুষ লাভবান হচ্ছে দেশজুড়ে।
করোনা কালে গত দেড় বছর ধরে গোটা দেশের পড়ুয়ারা সকলেই প্রায় গৃহবন্দি। বিশেষ করে ছোটদের ক্লাস পুরোপুরি বন্ধ। ভরসা কেবল অনলাইন। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে অনলাইনের মাধ্যমে পড়ুয়ারা পড়াশোনা চালাচ্ছে, সে ব্যাপারে বৃহস্পতিবারের ভিডিও বৈঠকে খোঁজ নিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি জানান, কেন্দ্র চেষ্টা করে চলেছে যাতে শিশুদের পড়াশোনায় কোনও বাধা না আসে। ডিজিটাল মাধ্যমে এই অতিমারীর সময় তারা যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, তা দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: দেশে আগত ইউরোপীয়দের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন, টিকা ইস্যুতে EU-কে চাপ ভারতের]
কেবল পড়ুয়ারাই নয়, কৃষকরাও অনলাইনের সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর। তিনি জানিয়েছেন, কৃষকরা বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে নিজেদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করছে। এদিনের বৈঠকে মধ্যপ্রদেশের ব্যবসায়ী নাজরিনের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। ওই ব্যবসায়ী জানান, কীভাবে তিনি তাঁর দোকানে ডিজিটাল পদ্ধতিতেও ক্রেতাদের থেকে অর্থ নেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে দেশের টিকাকরণের বিষয়টিও। তিনি জানান, যেভাবে কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্ত করা যাচ্ছে তা দেখে আগ্রহী হয়েছে আরও বহু দেশ। দেশ যে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে কতটা উন্নতি করেছে তা পরিষ্কার হয়ে যায় এই অ্যাপের ‘মনিটরিং টুল’ হয়ে ওঠা থেকেই।
তিনি বলেন, ‘‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া অর্থাৎ সময়, শ্রম ও খরচের সাশ্রয়। ডিজিটাল ইন্ডিয়া অর্থে দ্রুত লাভ, পুরোপুরি লাভ। ডিজিটাল ইন্ডিয়া অর্থে ন্যূনতম ‘গভর্মেন্ট’, সর্বোচ্চ ‘গভর্নেন্স’।’’ সেই সঙ্গে এই দশকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও বিশ্ব ডিজিটাল অর্থনীতিতে ভারতের ক্ষমতা আরও উন্নত হয়ে উঠভে বলেই তিনি আশাপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই কারণেই বড় বড় বিশেষজ্ঞরা এই দশককে ভারতের Techade হিসেবে দেখছে।’’