জম্মু-কাশ্মীরে পরিষেবা স্বাভাবিক করার প্রস্তুতি শুরু করেছে কেন্দ্র। আজ থেকেই কাশ্মীরের কিছু জায়গায় ফের খোলা হচ্ছে স্কুল। কিন্তু এই পরিস্তিতিতে স্বাভাবিক ভাবে সব পরিষেবা চালু করাটাই প্রশাসনের কাছে চ্যালেঞ্জ। কারণ গত দু’সপ্তাহ ধরে উপত্যকার বেশিরভাগ এলাকা কার্যত স্তব্ধ।
শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের চিফ সেক্রেটারি বিভিআর সুব্রহ্মন্যম জানান, সপ্তাহ শেষে সোমবার থেকে ফের কিছু জায়গায় স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কারণ, সরকার চায় না, এই পরিস্থিতিতে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা নষ্ট হোক। সরকারি কর্মচারীদের বলা হয়েছে কাজে যোগ দিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করতে।
যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেশ কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে এখনও রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনা। বিশেষ করে যে সব এলাকা উত্তেজনাপ্রবণ, সেখানে এখনও ভালো পরিমাণে সেনা মোতায়েন করা আছে। এই দু’সপ্তাহে বড় মাপের কোনও অশান্তি না হলেও ছোট ছোট কিছু বক্ষোভ হয়েছে। তার জেরে শ্রীনগরে সাত জন আহত হয়েছে। মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি প্রায় ৫০ হাজার ল্যান্ডলাইন নতুন করে চালু করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রথমে প্রাথমিক স্কুল খুলে উপত্যকার পরিস্থিতি আঁচ করতে চাইছে সরকার। তারপরে মধ্য ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ও খোলা হবে। কোন কোন এলাকায় স্কুল খোলা হবে, তার তালিকাও নাকি প্রস্তুত রয়েছে।
কিন্তু স্কুল খুললেও এই পরিস্থিতিতে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অনেক বাবা-মা। শ্রীনগরের বাসিন্দা ইসফাক আহমেদ জানিয়েছেন, “স্কুল খুললেও এখনও এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। বেশিরভাগ দোকানপাঠ বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও সময় বড়সড় অশান্তি হতে পারে। কীভাবে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাবো।” ওয়াসিম আহমেদ নামের আরেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “স্কুল খুললেও কয়েক দিন অপেক্ষা করবো। তারপর যদি মনে হয় পরিস্থিতি ভালো, তখনই ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাবো।”
পরিকল্পনা দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি রোহিত কানসাল জানিয়েছেন, “সরকার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রথম ধাপে ১৯০টি প্রাথমিক স্কুল খোলা হবে। তারপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে মধ্য ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ও খোলা হবে। কাশ্মীরের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা তৎপর। আর তাই ধাপে ধাপে সবকিছু করা হচ্ছে। কোনও ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে চায় না সরকার।”