সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে চাঁপা ডালি মোড়ে কংগ্রেসের ডাকে অনুষ্ঠিত হল সভা। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে সোমবার উপনির্বাচন এবং বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে ঘটনাকে কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। সেখান থেকেই উপনির্বাচনকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
করিমপুরে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে লাথি মারা প্রসঙ্গে প্রদেশ সভাপতি বলেন, ‘রাজ্য রাজনীতিতে এই সংস্কৃতি ছিল না। ২০১১ সালের পর তৃণমূল এই সংস্কৃতি চালু করেছে। করিমপুরের ঘটনাকে সমর্থন করা যায় না”। জয়প্রকাশ মজুমদারকে পদাঘাতের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সোমেন মিত্র জানান, “এই রাজ্যে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নেই এবং এভাবেই তাকে পদদলিত করা হচ্ছে। যে দল বিপুল জয় নিয়ে ক্ষমতায় এসেই হলদিয়া পুরনির্বাচনে যারা ভোট রিগিং করে তাদের মানুষের ওপর আস্থা কখনোই ছিল না।’ এদিনের অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুস সাত্তার, বাদুড়িয়ার বিধায়ক আব্দুল রহিম দিলু-সহ অন্যান্য নেতারা।
রাজ্যের তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ভোট বেশি পড়াকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট বলতে নারাজ। সোমবার বারাসতে দলীয় সমাবেশে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, উপনির্বাচনে ভোট বেশি পড়েছে ঠিকই। কিন্তু তা প্রতিষ্ঠান বিরোধী কিনা ফলাফলের আগেই তা বলা যাবে না। এবার উপনির্বাচনের ফলাফল কি হবে বলা মুসকিল তবে এবারের ফল মানুষের ফলাফল নয়, পেশিশক্তির ফলাফল। এখন দেখতে হবে পেশীশক্তির ক্ষমতা বেশি না মানুষের ক্ষমতা বেশি, দিদির রাজ্যে সিন্ডিকেটের ভাইরা কীভাবে ভোট করিয়েছে, তার উপর সব নির্ভর করবে।”
রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে দাবি করার পরেও উপনির্বাচনে সন্ত্রাস কেন? সাংবাদিকদের তরফে এই প্রশ্ন গেলে প্রশ্নের উত্তরে সোমেন মিত্র বলেন, ‘রাজ্যে উন্নয়ন হচ্ছে। তবে সে উন্নয়ন সিন্ডিকেটের উন্নয়ন। দিদির ভাইদের উন্নয়ন।’ কেন্দ্রীয় এন আর সি নীতির সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোনের বিরোধিতা করে তিনি প্রশ্ন করেন, “ভারতের সংবিধানে নেই যে একটি সম্প্রদায়কে বাদ দিয়ে দেওয়া যায়। ‘এটা হয় নাকি ?’
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন প্রসঙ্গে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘রাতের বেলা কাজ করে চোরেরা। মোদি-অমিত শাহরা রাতের অন্ধকারে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছে। ওরা রাতের জীব।’ রাজ্যে এনআরসি নিয়ে বিজেপির সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা করলেও মহারাষ্ট্রে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনাকে সমর্থন করছে কংগ্রেস। সে প্রশ্নের জবাবে সোমেন বলেন, ‘আমরা কিছু কমন মিনিমাম প্রোগ্রামের শর্তে শিবসেনাকে সমর্থন করছি। সেটা মোটেও দ্বিচারিতা নয়।’