১০-০৫-১৯৮৪ তারিখে ”India’s struggle for freedom” শিরোনামে চারজন সংগ্রামীকে স্মরণ করে চারটে ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়, তার অন্যতম মঙ্গল পাণ্ডে, মূল্যমান ৫০ পয়সা। তিনি ১৮৫৭ সালে সংঘটিত স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছিলেন বঙ্গদেশে বাস করেই। কলিকাতার উপকন্ঠে উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার অন্তর্গত ব্যারাকপুর একটি মহকুমা শহর। উত্তরে কাঁচড়াপাড়া থেকে দক্ষিণে বরানগর পর্যন্ত ‘বারাকপুর’ মহকুমা বিস্তৃত। গঙ্গাতীরবর্তী এই শহরটি সিপাহী বিদ্রোহ ১৮৫৭ বা ভারতীয় জাতীয় মহাবিদ্রোহের কারণে বিখ্যাত। এর সূত্রপাত ঘটেছিল মঙ্গল পাণ্ডের মাধ্যমে, কলিকাতার উপকন্ঠে ব্যারাকপুরে। বিপ্লবী মঙ্গল পাণ্ডে ছিলেন প্রথম প্রতিবাদী, যিনি ব্যারাকপুর থেকে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন। এই ঘটনা ব্যারাকপুরকে আন্তর্জাতিক ইতিহাসে স্থান দিয়েছে। , কলিকাতার উপকন্ঠে উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার ব্যারাকপুরে। সিপাহীদের প্যারেড ময়দানে ১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ উপমহাদেশের প্রথম ইংরেজ বিরোধী অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন সিপাই মঙ্গল। সেদিন অপরাহ্ন পাঁচ ঘটিকায় বারাকপুরে নিযুক্ত ৩৪ নম্বর নেটিভ ইনফ্যান্টির তরুণ সিপাহী মঙ্গল পাণ্ডে তাঁর সহকর্মীদের কাছে বিদ্রোহের আহ্বান জানালেন তিনি। ফলে মেজর হিউসন ও লেফটেন্যান্ট বগ্ মঙ্গল পাণ্ডেকে গ্রেপ্তার করতে এলেন। পাণ্ডের গুলির আঘাতে আহত হলেন বগ্৷ ফলে ৬ এপ্রিল সামরিক আদালত বসিয়ে মঙ্গল পাণ্ডের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হল এবং ঐ বছরেই ৮ ই এপ্রিল ভোর পাঁচটা তিরিশ মিনিটে মহাবিদ্রোহের প্রথম আত্মবলিদানকারীর ফাঁসি হয়ে গেল।
ড. কল্যাণ চক্রবর্তী