জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল আনার পক্ষে সওয়াল করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। দশমীর সকালে শস্ত্র পুজোয় যোগ দিয়ে এই দাবি করেন তিনি। ভাগবতের মতে, একটি সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বেড়ে গেলে দেশভাগের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। জোর করে ধর্মান্তকরণের মতো সমস্যাও বাড়বে বলে মত তাঁর।
ঠিক কী বলেছেন মোহন ভাগবত? তাঁর কথায়, ‘জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা ভৌগলিক সীমানা পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যায়। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্য এমন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যাকে আর উপেক্ষা করা যাবে না। আর সেই কারণেই একটি সামগ্রিক জনসংখ্যা নীতি আনা উচিত। এবং সকলের জন্য়ই এটা সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত’।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি কি আরএসএসের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে এই ধরনের আইন প্রণয়নের দিকে সত্যিই হাঁটবে? সেই সম্ভাবনা এখনই নেই বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। কেননা এর আগেও বারবার এই আইনের কথা বলে এসেছে আরএসএস। কিন্তু তাতে কান দেয়নি বিজেপি সরকার।
গত এপ্রিলে এই ধরনের আইনের দাবি তুলেছিলেন রাজ্যসভার সদস্য রাকেশ সিনহা। সেই বিলের উপর আলোচনার সময় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেন, পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে সচেতনতা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির কারণে জনসংখ্যায় একটা স্থিতিশীলতা ইতিমধ্যেই এসেছে। তিনি জানান, প্রজনন হার কমতে কমতে ২ শতাংশে এসে পৌঁছেছে। যা বুঝিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রের পরিবার পরিকল্পনা মিশন সঠিক পথেই এগোচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ফের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিলের দাবি তুললেন সংঘ প্রধান।