১৪ এপ্রিল রাতে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পি সি বন্দ্যোপাধ্যায় হস্টেলে খুন হয় এক প্রাক্তন ছাত্র। তারপরেই এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানায়, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে বেশ কিছু অভিযোগ উঠছে। ভোটের সময় কেন এই ধরণের ঘটনা ঘটছে, তা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশকে। বুধবার রাতে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হস্টেলে হানা দেয় প্রয়াগরাজ পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স ( র্যাফ )-এর যৌথ বাহিনী। আর এই হানাতেই উদ্ধার হয়েছে প্রচুর মদের বোতল, নকল পিস্তল, দেশি বোমা ও বোমা তৈরির উপকরণ।
সম্প্রতি এলাহাবাদ হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে এত গণ্ডগোলের খবর পাওয়া যাচ্ছে, এ কথা তদন্ত করে দেখতে হবে প্রয়াগরাজ পুলিশকে। তারপরেই বুধবার গভীর রাতে পুলিশ সুপার ব্রজেশ কুমার শ্রীবাস্তব এবং কর্নেলগঞ্জ থানার সার্কেল অফিসার শ্রীশ চন্দ্র এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের তারাচাঁদ হস্টেলে গিয়েছে পৌঁছন। সঙ্গে ছিলেন র্যাফের জওয়ানরা। তাঁদের সঙ্গে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আর এস দুবেও ছিলেন বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, তারাচাঁদ হস্টেলে গিয়ে প্রত্যেকটা ঘর পরীক্ষা করে দেখেন তাঁরা। তারপরে ৫৮টি ঘর সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই তাঁরা হানা দেন পাশের পি সি বন্দ্যোপাধ্যায় হস্টেলে। এই হস্টেলেই খুন হয়েছিল ওই প্রাক্তন ছাত্র। এই হস্টেলেরও ৪৩টি ঘর সিল করে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সূত্রের খবর, এই সিল করা রুমগুলোর বেশিরভাগেই প্রাক্তন ছাত্ররা বেআইনিভাবে থাকত বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও ২০টি মোটর সাইকেল, একটি নকল পিস্তল, দেশি বোমা ও বোমা বানানোর উপকরণ পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই হানার সময় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা সবাই হস্টেলে বেআইনিভাবে থাকত বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ছাত্র নেতা অভিষেক সিং ওরফে মাইকেলের গাড়ির ড্রাইভার নির্ভয় সিংকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক করা যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ১৪ এপ্রিল রাতে গুলিতে খুন হওয়া ছাত্র রোহিত শুক্লর ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের।