পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের একটা ভূমিকা রয়েছে। দেশে বিদেশে প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধেও বারবার কথা উঠছে । এবার সেই লক্ষ্য নিয়ে নতুন ভারত গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই জন্য দীপাবলির আগে সকল পুরসভা , স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও কর্পোরেট সংস্থাগুলির থেকে এই বিষয় উপায় জানতে চেয়েছেন । এর আগেও স্বাধীনতা দিবসের দিন সাধারন মানুষকে প্লাস্টিক ব্যবহার না করার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
দ্বিতীয়বার মসনদে বসে এই নিয়ে তৃতীয় বার ‘ মন কি বাত’ অনুষ্ঠান থেকে বক্তব্য রাখলেন মোদী এবং সেখান থেকেই স্বচ্ছতার অভিযানের উপর জোর দেন তিনি। ১১ ই সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ‘স্বচ্ছতাই সেবা’ অভিযান এবং সেখান থেকে তিনি ‘স্বচ্ছভারত অভিযান’ কে এক নয়া দিশা দেখাতে চান বলেও জানিয়েছেন।আর এবছর গান্ধীজির সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্লাস্টিকহীন ভারত গড়তে চেয়ে স্বচ্ছ ভারত অভিযানে এক নয়া দিশা দেখাতে চাইছেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ২রা অক্টোবর গান্ধীজির জন্মদিন। আর সেই দিন শুধুমাত্র খোলা জায়গাতে শৌচকর্মহীন নয়া ভারত গড়ে তা গান্ধীজিকে উৎসর্গ করা হবে না৷ পাশাপাশি প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে নয়া যুগের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে। তাছাড়া দেশের নানা প্রান্তে জমে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য পদার্থ নষ্ট করতে পুরসভা, জেলা প্রশাসন, কর্পোরেট সংস্থাগুলির থেকে উপায় জানতে চান। মোদি জানান , প্লাস্টিক পুর্ন্যব্যবহার করা যায় এবং জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এভাবেই আমরা প্লাস্টিকহীন ভারত গড়ার নয়া পদক্ষেপ নিতে পারি। দীপাবলির আগে প্লাস্টিকহীন ভারত গড়ার দিকে এগিয়ে যেতে পারি।
এছাড়াও প্রকৃতি ও বন্যপ্রানের সমৃদ্ধির জন্য বন সংরক্ষনের উপরেও জোর দিয়েছেন তিনি। বাঘ সংরক্ষনের বিষয়ে তিনি জানান, যদি জঙ্গল না থাকে বাঘ লোকালয়ে আসবে এবং মানুষের হাতে মারা যাবে। অন্যদিকে জঙ্গলে বাঘ না থাকলে মানুষ জঙ্গলকে নষ্ট করে দেবে । মোদীর কথায় ‘‘ জঙ্গল রক্ষা করে বাঘ , জঙ্গল বাঘকে রক্ষা করে না। তাই আমাদের কেবল বন সংরক্ষন করলেই হবে না। ফ্লোরা ও ফনার যাতে বৃদ্ধি হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। ’’
অপুষ্টি দূরীকরণে দেশ জুড়ে আগামী মাস থেকে ‘পোষণ অভিযান’ শুরু হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এই প্রকল্পে শিশু ও মহিলাদের পুষ্টিপ্রদানে এক আন্দোলনের রুপ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়,‘‘ ‘ধনী ও গরিব উভয়েই সচেতনতার অভাবে অপুষ্টির শিকার হয়। আগামী সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে পোষণ অভিযান পালন করা হবে। আপনাদের এর সঙ্গে যুক্ত থেকে এবং অর্থ সাহায্য করে অভিযানকে অন্য রুপ দিতে হবে।
আর এ কাজে আপনারা যদি কয়েকজনকে অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন, সেটাই দেশকে অপুষ্টির থেকে বের করে আনবে।’’ এর সঙ্গে ২৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া দিবসে ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়াম থেকে ‘ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট’ সুচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায় ” আমাদের নিজেকে ফিট রাখতে হবে ও দেশকে ফিট তৈরি করতে হবে ৷”
তাছাড়া ডিসকভারি চ্যানেলে ‘ ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’ অনুষ্ঠানে কিভাবে সঞ্চালক বেয়ার গ্রিলস তাঁর হিন্দি বুঝতে পেরেছিলেন সেটিও জানান মোদী। এই অনুষ্ঠান সাড়া জাগালেও অনেকের প্রশ্ন ছিল কিভাবে তার হিন্দি বুঝেছিলেন সঞ্চালক। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘‘ একটি কর্ডলেস যন্ত্র লাগানো ছিল বেয়ার গ্রিলসের কানে তার মাধ্যমে হিন্দি কথা গুলি ইংরাজিতে অনুবাদ হয়ে যেত। আর এই কারনেই কথাবার্তা আরও সহজ হয়ে গিয়েছিল বলেও জানান তিনি।’’