২৩ মে থেকে ৮ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় দফার বিজেপি সরকারের ১০০ দিন। এই সময়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘বিকাশ, বিশ্বাস এবং পরিবর্তনের’ যাত্রা বলে বর্ণনা করলেন। তাঁর দাবি, এই ১০০ দিনে সংসদে যা কাজকর্ম হয়েছে তা গত ৬০ বছরের সংসদীয় কাজকর্মকে হারিয়ে দিয়েছে।
নিজের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রশংসায় মোদী টানলেন ইসরো প্রসঙ্গও। ভারতের চন্দ্রাভিযান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘ইসরোর চন্দ্রযান-২ অভিযান গোটা দেশকে জুড়ে দিয়েছে এক লহমায়।’’এটাকে ‘ইসরো স্পিরিট’ বলে বর্ণনা করেছেন। সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, এই একশো দিনে দেশকে একশো সেকেন্ড টেনশনে কাটাতে হয়েছে। তিনি চন্দ্রযান টুয়ের শেষ মুহূর্তের টেনশনের কথাই বোঝাতে চান ওই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে।
এদিন সকালেই টুইট করে একশো দিনের প্রশস্তি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ এদিন ১০০ দিনের যাত্রাকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন,‘‘মোদীর সরকার জাতীয় সুরক্ষা, বিকাশ ও দরিদ্রের উন্নয়নের সমার্থক।’’
আর হরিয়ানার রোহতকে দ্বিতীয় বিজেপি সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, প্রথম ১০০ দিনে এমন কিছু পদক্ষেপ করেছে তাঁর সরকার করেছে, যা ইতিহার রচনা করবে। তাঁর দাবি, জম্মু কাশ্মীর সমস্যা হোক বা জল সঙ্কট, ১৩০ কোটি দেশবাসী এতদিনে সুষ্ঠু সমাধানের ইঙ্গিত পেয়েছে। সরকারের প্রথম ১০০ দিনে অনেক বিল পাশের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে সংসদের সক্রিয়তার উল্লেখ করেন নরেন্দ্র মোদী।
তবে এ দিনই টুইট করে মোদীকে বিঁধতে ছাড়েননি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।