আগামী তিন বছরের পরিকল্পনা এখনই সেরে ফেলতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেছেন তিনি। এ বার সকল মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকেও (3 days Cabinet Meeting) বসতে চলেছেন নমো। সূত্র অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহেই টানা তিনদিন ধরে মন্ত্রিসভার বৈঠক রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৪ সাল থেকেই দেশ সামলানোর দায়িত্বভার পালন করলেও সম্প্রতিই করোনা মোকাবিলা, টিকাকরণ, পেট্রোল-ডিদেলের মূল্যবৃদ্ধি, পেগাসাস ইস্যু সহ একাধিক বিষয়ে বিরোধীদের নিশানা হয়ে উঠেছে মোদী সরকার। বাদল অধিবেশন শুরু হলেও বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে প্রতিদিনই অধিবেশনকার্য ব্যহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সরকারের ভাবমূর্তি নতুনভাবে গড়ে তোলা যায়, তা নিয়েই আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে।
সূত্র অনুযায়ী, আগামী ১০ থেকে ১২ অগস্ট এই বৈঠক হবে। সংসদ ভবনের অডিটোরিয়ামে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। এরমধ্যে একদিন প্রধানমন্ত্রী সমস্ত মন্ত্রীদের নিয়ে বড় বৈঠক করবেন। ইতিমধ্যেই ক্যাবিনেট মন্ত্রী, পূর্ণমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের প্রত্যেককে আগামী একবছর তাঁরা কীভাবে মন্ত্রকের কাজ করবেন, তার তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ বৈঠকের আগেই প্রধানমন্ত্রী আগামী একবছরের পরিকল্পনা সাজিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পগুলির মাধ্যমে প্রত্যেক রাজ্যের মানুষের কাছে কতটা পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে এবং প্রকল্প খাতে বরাদ্দ অর্থের কতটা রাজ্যগুলিতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাও এই বৈঠকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মন্ত্রীদের জানাতে হবে।
গত মাসেই মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা, একাধিক মন্ত্রীকে সরিয়ে আনা হয়েছে নতুন ও যুব প্রজন্মের প্রতিনিধিদের। নতুন মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণের পরদিনই প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হয়েছিলেন মন্ত্রীরা। তবে তিনদিনের ম্যারাথন বৈঠকে আগে কখনও অংশ নেননি তাঁরা। আগামী সপ্তাহে তিনদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী যে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন, তাতে প্রধান আলোচ্য বস্তু হবে সরকারের আগামী তিনবছরের পরিকল্পনা। নতুন মন্ত্রীদেরও বিশেষ দায়িত্বভার দেওয়া হতে পারে বলেই সূত্রের খবর।
আগামী বছরই উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব সহ সাত রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। বাংলার ভোটে ভরাডুবির পরই এই রাজ্যগুলি হাতছাড়া করতে রাজি নয় বিজেপি, তাই তিনদিনের বৈঠকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল নিয়েও আলোচনা হতে পারে।