আগামী বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরে একটি সর্বদলীয় বৈঠকের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, আলোচনায় জম্মু-কাশ্মীরকে ফের রাজ্যের মর্যাদা প্রদান সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয় উঠে আসতে পারে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম কেন্দ্রের তরফে কোনও শীর্ষস্তরের রাজনৈতিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
বিষয়টির কথা স্বীকারও করেছে উপত্যকার বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জম্মু-কাশ্মীরের এক নেতা বলেন, ‘সামনের সপ্তাহে আলোচনার বিষয়টি কানে এসেছে। আপাতত আমরা সরকারি তরফে আমন্ত্রণের অপেক্ষায় রয়েছি।’
কিছুদিন আগেই জম্মু-কাশ্মীরে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চালুর ইঙ্গিত দিয়েছিল কেন্দ্র। গতকাল সেখানকার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়গুলি পর্যালোচনার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আলোচনায় নিরাপত্তা বাহিনীর আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। শাহ জানান, কাশ্মীরের কৃষকদের কেন্দ্রীয় যোজনার সুযোগ-সুবিধা তুলে দেওয়া হবে। তৈরি হবে নতুন শিল্পও। স্থানীয় স্তরে পঞ্চায়েতের উন্নতি এবং কোভিডের টিকাকরণের কর্মসূচিতেও গতি আনান আশ্বাস দেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জম্মু-কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়৷ পরের বছর আগস্ট মাসে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করে কেন্দ্র। পাশাপাশি তাকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ এর কিছুদিন আগেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহের মতো নেতৃত্বকেও আটক করা হয়েছিল। পরে ছাড়া পেয়ে ফারুক আবদুল্লাহ বিরোধীদের নিয়ে গুপকর জোট তৈরি করেন। উপত্যকায় গত ডিসেম্বরে যে স্থানীয় স্তরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাতে তারা জয়লাভও করে। অন্যদিকে ৭৪টি আসন নিয়ে একক বৃহত্তম পার্টি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বিজেপি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের সর্বদলীয় বৈঠকে বাকিদের মতো এই জোটও অংশ নিতে চলেছে।