আফগানিস্তানের চলতি পরিস্থিতি নিয়ে কথা হল নরেন্দ্র মোদী, ভ্লাদিমির পুতিনের। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই ট্যুইট করে একথা জানিয়েছেন। তালিবানের দখল করে নেওয়া আফগানিস্তানের ভবিষ্যত্ নিয়ে তীব্র অনিশ্চয়তা চলছে। তার মধ্যেই দুই শীর্ষ নেতার কথা হল একটানা ৪৫ মিনিট। রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পাশাপাশি রুশ-ভারত সম্পর্ক নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আমার বন্ধু প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বিস্তারিত, প্রয়োজনীয় মতামত বিনিময় হল। কোভিড ১৯ মোকাবিলায় ভারত-রুশ সহযোগিতা সহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা ব্যাপারেও আমরা কথা বলেছি। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গভীর আলোচনা চালিয়ে যেতে সহমত হয়েছি আমরা।
Had a detailed and useful exchange of views with my friend President Putin on recent developments in Afghanistan. We also discussed issues on the bilateral agenda, including India-Russia cooperation against COVID-19. We agreed to continue close consultations on important issues.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2021
প্রসঙ্গত, তালিবান কাবুল দখলের পর থেকেই আফগানিস্তানে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের ফেরাতে সক্রিয় হয় মোদী সরকার। পাশাপাশি তালিবানের মৌখিক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে উগ্র আচরণের মুখে অসহায়, বিপন্ন বোধ করা সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখদেরও বায়ুসেনার বিমান পাঠিয়ে দেশে ফেরাচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু রাশিয়া শুরু থেকেই পাকিস্তান, চিনের মতো তালিবানের প্রতি কিছুটা নমনীয়তা দেখাচ্ছে। তালিবানের মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রাখছে মস্কো। তালিবানও চাইছে, তাদের সঙ্গে অন্য পক্ষগুলির আলোচনায় মধ্যস্থতা করুক রাশিয়া। কিন্তু ভারত সেই অবস্থান নেয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার সংসদে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র, যেখানে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ভারত ইতিমধ্যে কাবুলের কূটনৈতিক মিশন ফাঁকা করে সেই ভবন বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে তালিবান হানা দিয়ে লুঠপাট করেছে বলে খবর।
কিন্তু রাশিয়া এখনও আফগান রাজধানীতে নিজেদের কূটনৈতিক মিশন ফাঁকা করেনি। নিজেদের কূটনীতিককে সেখানে এখনও রেখে দিয়েছে। তালিবানের সঙ্গে সব যোগাযোগের রাস্তাও খোলা রেখেছে।