করোনা আবহে সোমবার থেকে সুরু হল সংসদের বাদল অধিবেশন। এদিন অধিবেশন শুরুর আগে দেশের অখণ্ডতার পক্ষে সওয়াল করে প্রধানমন্ত্রীর আবেদন, ‘‘গোটা দেশ এই মুহূর্তে ভারতীয় সেনার পাশে রয়েছে, আমাদের সংসদ থেকে যেন জোটবদ্ধভাবে সেই বার্তাই যায়। সেটা প্রত্যেককে দেখতে হবে।’’
করোনা পরিস্থিতির জেরে কাটছাঁট হয়েছে এবারের বাদল অধিবেশন। সাংসদ, সংসদের কর্মী, গাড়িচালক, সাংবাদিক প্রত্যেকেরই করোনা টেস্ট হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই সংসদে ঢোকার অনুমতি দিয়েছেন অধ্যক্ষ। করোনা আবহে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। করোনার জেরে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, ভারত-চিন সীমান্তের পরিস্থিতি এসব নিয়েই এদিন আলোচনা হবে সংসদে।
সোমবার অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সব দলের সাংসদদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘আমাদের সেনারা মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে সীমান্তে সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই করছেন। বুক চিতিয়ে লড়ছেন সেনারা। গোটা দেশ তাঁদের পাশে রয়েছে। আমাদের সংসদের অধিবেশন থেকে যেন সেই বার্তাই পৌঁছয়। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এই বার্তাই পৌঁছে দিতে হবে। সংসদের সব সদস্য আমার এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত হবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’’
এবারের বাদল অধিবেশন ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে পয়লা অক্টোবর। বিজনেস অ্যাডভাইসারি কমিটির বৈঠকে আলোচনা হবে বাদল অধিবেশনের সম্ভাব্য দিকগুলি নিয়ে। এই প্রথম অধিবেশনে থাকছে না জিরো আওয়ার। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশ্নোত্তর পর্ব না করার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কড়া বিরোধিতা করেছে বিরোধী দলগুলি।
জানানো হয়েছে কোনও ছুটি বা বিরতি দেওয়া হবে না অধিবেশনে। মোট ১৮ বার অধিবেশন বসবে। দিনের প্রথম চার ঘন্টায় রাজ্য সভা ও পরের চার ঘন্টায় লোকসভার অধিবেশনের কাজ চলবে। এই অধিবেশনে মোট ১১টি অর্ডিন্যান্স পেশ করা হতে পারে দুই কক্ষে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক, কৃষি মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রক, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে এই অর্ডিন্যান্স পেশ করা হবে বলে খবর।