সংসদে বিরোদীদের কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর। এদিন রাজ্যসবায় তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্র নিয়ে বিরোধীরা সংসদে অনেক কথা বলছেন। মনে হচ্ছিল যেন বাংলার কথা বলছেন। গণতন্ত্র নিয়ে বিরোধীরা যা বলছেন মানুষ তা বিশ্বাস করে না। ভারত শুধু বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্র নয়। গোটা বিশ্বের গণতন্ত্রের জননী ভারত।’’
এদিন সংসদের রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করে বিরোধীরা। তারপর ভাষণ শুরু করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বিরোধীদের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এদিন গণতন্ত্র নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের পাল্টা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন নেতাজি। যুব সমাজকে নেতাজির আদর্শের পাঠ দেওয়া প্রয়োজন।’’
করোনাকালেও এবার ফের ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এদিন বলেন, ‘‘দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদনে রেকর্ড। শুধু কৃষি আন্দোলন নিয়ে কথা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির ভাষণ আত্মনির্ভর ভারতের আশা জাগায়। রাষ্ট্রপতির ভাষণ বিরোধীরা বয়কট করেছে।’’
নয়া কৃষি আইন নিয়ে বিরোধীদের প্রবল প্রতিবাদ নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন মোদী । তিনি এদিন বলেন, ‘‘কৃষক আন্দোলন নিয়ে কথা বলছেন বিরোধীরা। কিন্তু কৃষিমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাব কেউ দিচ্ছেন না। দেশে ৩৩ শতাংশ কৃষকের ২ বিঘেরও কম জমি। ১৮ শতাংশ কৃষকের ২-৪ বিঘা জমি।
সারা দেশে ছোট কৃষকের সংখ্যা ৬৮ শতাংশ। ৮৬ শতাংশ কৃষকের জমি ২ হেক্টরেরও কম। ক্ষুদ্র কৃষক ঋণ মকুবের সুযোগ পান না। কারণ তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। বিমার সুবিধাও ছোট কৃষকরা পান না। এমন কৃষকের সংখ্যা দেশে ১২ কোটি। সেচের সুবিধাও ক্ষুদ্র কৃষকদের ভাগ্যে নেই। ২০১৪ সালের পর ফসল বিমার আওতায় এসেছেন ক্ষুদ্র কৃষকরা।’’