আজ শুক্রবার থেকে শুরু হল সংসদের বাজেট অধিবেশন। সোমবার বাজেট পেশ হবে লোকসভায়। কোভিডের ধাক্কায় যখন অর্থনীতি তথা গোটা দেশ মন্দার কবলে, তখন বাজেট কেমনতর হবে তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে সব মহলেই।
এ হেন প্রেক্ষাপটে এদিন বাজেট অধিবেশনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে বলেন, “এক প্রকার এই বাজেট হতে চলেছে ঐতিহাসিক। কারণ, নতুন দশকের প্রথম বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এই দশক ভারতের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের স্বপ্নপূরণের জন্য সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে আমাদের সামনে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছর চার পাঁচটা মিনি বাজেট পেশ করতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে। আমি মনে করি, এ বারের বাজেটে সেই ধারাবাহিকতাই বজায় থাকবে।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সংসদে বাজেট পেশ হওয়ার দেড় মাসের মধ্যে গোটা দেশে মহামারীর কারণে লক়ডাউন শুরু হয়ে যায়। তাতে ধাক্কা খায় উৎপাদন। লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ হারান। সেই পরিস্থিতিতে কৃষক, পরিযায়ী শ্রমিক, দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী মানুষ এবং ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় শিল্পের জন্য দফায় দফায় আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হয়।
আরও পড়ুন: বাজেটে জোর দেওয়া হবে পরিকাঠামো নির্মাণ, কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্যখাতে, মধ্যবিত্তের সুরাহার সম্ভাবনা
প্রধানমন্ত্রী এদিন সেই সব পদক্ষেপকেই মিনি বাজেট বলে বোঝাতে চেয়েছেন। অনেকের মতে, প্রধানমন্ত্রীর কথাতেই পরিষ্কার যে বাজেটে পরিকাঠামো নির্মাণ বরাদ্দ বাড়ানো হবে। যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ে। সেই সঙ্গে আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের আওতায় সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে যে উৎসাহ দিতে বড় ঘোষণা করতে পারে। তা ছাড়া স্বাস্থ্য, গ্রামীণ কর্মসংস্থান খাতে বরাদ্দ বাড়াতে পারেন অর্থমন্ত্রী।
এদিন বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ যৌথসভায় বক্তৃতা দেন। তবে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা বয়কট করেছে ১৮ টি বিরোধী দল। শুধু শাসক শিবিরের সাংসদরাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন।