চিরকালই প্রথা ভাঙতে ভালবাসেন তিনি৷ স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ হোক বা বিদেশে ফটো সেশন৷ প্রথাভাঙার খেলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবার আগে৷ আগেও নিজের ভাষণ শেষে প্রোটোকল ভেঙে বাচ্চাদের ভিড়ে মিশে যেতে দেখা গিয়েছে তাঁকে৷
এবার অন্য মোদীকে দেখল রাশিয়া৷ ভারত-রাশিয়া ২০তম দ্বিপাক্ষিক বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তক শহরে রয়েছেন। সেখানেই একটি ফটোসেশনের জন্য কিছুটা সময় বের করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী৷ তাঁকে রাশিয়ায় উপস্থিত বিভিন্ন উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে ছবি তুলতে হত৷
সেই হলে প্রবেশ করেই প্রধানমন্ত্রী দেখেন তাঁর জন্য রাখা রয়েছে একটি বিশেষ আরামদায়ক সোফা, যেখানে অন্যান্যদের জন্য রয়েছে সাধারণ চেয়ার৷ সঙ্গে সঙ্গে তাতে বসতে মানা করেন মোদী৷ আধিকারিকদের নির্দেশ দেন সোফাটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য৷ আরও নির্দেশ আসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে থেকে৷ মোদী বলেন তাঁকেও একটি এরকমই সাধারণ চেয়ার দেওয়া হোক৷
খুব স্বাভাবিকভাবেই মোদীর এই নির্দেশে রীতিমত অবাক হন সবাই৷ তবে, সঙ্গে সঙ্গে সোফা সরিয়ে চেয়ার এনে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে৷ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে সেই চেয়ারে বসেই ফটোসেশন করেন মোদী৷ এই ভিডিও নিজের মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটারে পোস্ট করেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল৷
তিনি লেখেন কতটা সাধারণ মানের জীবন কাটাতে পছন্দ করেন মোদী, সেটা এই ভিডিওতেই প্রমাণ মেলে৷ নিজের জন্য রাখা বিশেষ আরামদায়ক সোফা ছেড়ে কোনও প্রধানমন্ত্রীই আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো চেয়ারে বসতে রাজি হতেন কীনা সন্দেহ৷
ভিডিওটি পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে যায়৷ প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই ব্যবহার মুগ্ধ করে নেটিজেনদের৷ প্রশংসার বন্যা বয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে৷
এর আগে, নরেন্দ্র মোদী রাশিয়ার পূর্ব প্রান্তের বিকাশের জন্যে ঋণদানের কথা ঘোষণা করেন। নরেন্দ্র মোদীর দাবি, ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির কারণেই রাশিয়ার এই ধরনের উন্নতিতে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ নিতে চাইছে ভারত। প্রশাসনিক দক্ষতার জন্য এদিন তাঁকে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসাও করতে দেখা যায়। বিশেষত রাশিয়ার উন্নয়নে পুতিনের ভূমিকার তারিফ করেন তিনি৷ মোদী জানান, ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ ভাবে মহাকাশ ও সমুদ্র গবেষণায় যেতে আগ্রহী ভারত।