জি-২০ সামিটে যোগ দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার ভোরবেলা জাপানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সামিট চলাকালীন বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতিদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন মোদী। তার মধ্যে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। সে দিকেই আপাতত চোখ রয়েছে কূটনৈতিক মহলের।
সূত্রের খবর, দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আভ্যন্তরীন বাণিজ্য। দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথমবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদী। অবশ্য লোকসভায় বিজেপির জয়ের পর ট্রাম্প ফোন করে মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। তিন দিনের এই জি-২০ সামিটে ১০টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন মোদী। তার মধ্যে ট্রাম্প ছাড়াও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গেও বৈঠক রয়েছে মোদীর।
বৃহস্পতিবার ভোরে জাপানের ওসাকাতে পা রাখেন মোদী। তাঁকে স্বাগত জানাতে সেখানকার ভারতীয়রা এসেছিলেন। একথা টুইট করেন মোদী নিজেও।
বুধবারই মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পিও দিল্লিতে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেন। বাণিজ্য নিয়ে আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে যে নীতিগত পার্থক্য আছে, তা স্বীকার করে নেন পম্পিও। তিনি বলেন, ভালো বন্ধুদের মধ্যেও অনেক বিষয়ে অমিল থাকে। সেটা বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করে। মার্কিন বিদেশ সচিব ও ভারতের বিদেশমন্ত্রী দুজনেই জানিয়েছেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান তাঁরা। তার মধ্যে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স চুক্তি নিয়ে আমেরিকা যে বিরোধিতা করেছে, সে বিষয়েও আলোচনার প্রয়োজন বলে তাঁদের মত।
জাপানে জি-২০ সামিটে যোগ দিতে যাওয়ার আগে মোদী বলেন, “এর পরেই ২০২২ সালে ভারতে জি-২০ সামিট হবে। ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা বছরে এক নতুন ভারতের দিকে এগিয়ে যাব আমরা।” সেইসঙ্গে মোদী আরও বলেন, “এ বারের বৈঠকে মহিলাদের ক্ষমতায়ন, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াইয়ের উপরেই সওয়াল করা হবে। কারণ এই দ্রুত বদলাতে থাকা দুনিয়ায় সব দেশ মিলে একসঙ্গে এই বিষয়ে কাজ করলে তবেই উন্নতি সম্ভব।”
এই সামিটে রাশিয়া-ভারত-চিন ও জাপান-আমেরিকা-ভারত দুটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথাও রয়েছে। এ চারাও ব্রিকস-এর অন্তর্ভুক্ত দেশের প্রধানদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন মোদী, এমনটাই জানা গিয়েছে।
জি-২০ সামিটে যে ২০টি দেশ অংশ নেয়, সেগুলি হলো- আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, ব্রিটেন ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র।